বনানী বাসস্ট্যান্ড থেকে: দ্রুত রাস্তা পার হতে হবে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আড়াআড়ি হাঁটা শুরু করেছেন হাসিবুর রহমান সাব্বির।
বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর বনানী-কাকলী সড়ক পার হওয়ার সময় কথা তার সঙ্গে।
ঝুঁকি নিয়ে তাড়াহুড়ো রাস্তা পারাপারের বিষয়ে সাব্বিরের উত্তর, কলেজে যাবো, দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই দ্রুত মাঝ রাস্তা দিয়ে পার হলাম।
এতে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে প্রশ্ন করতেই বলেন, তাতো আছেই, কিন্তু ক্লাস ধরতে দ্রুত হলে এ পাশে না আসলে গাড়ি পাওয়া যাবে না। তাই রিস্ক নিয়ে পার হলাম। অথচ মাত্র ৪০ কদম দূরেই ফুটওভার ব্রিজ। তারমতোই বুড়ো, শিশু, নারী, পুরুষ সবাই ব্যস্ত সড়কে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন।
মো. আব্দুস সোবহান (৫০) নামের এক ব্যক্তি স্ত্রীকে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। ফুটওভার ব্রিজ থাকতে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হলেন কেনো প্রশ্নে তিনি বলেন, আমিতো ফুটওভার ব্রিজে উঠতেও পারি না, নামতেও পারি না।
পারভিন নামের এক মধ্য বয়সী নারী হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে গাড়ির জটলার মধ্য দিয়ে দৌড়ে রাস্তা পার হন। জানতে চাইলে একই উত্তর, দ্রুত যেতে হবে।
এভাবেই বনানী-কাকলী সড়কে বেশিরভাগ পথচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন প্রতিদিন। এরই মাঝে হয়তো কারো তাজাপ্রাণ ঝড়ে যাচ্ছে। তারপরও কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এদিকে এভাবে পথচারীরা হরহামেশা রাস্তা পার হলেও বনানী-কাকলী এলাকার ট্রাফিক পুলিশকে কাউকে আটকাতে বা বাধা দিতে দেখা যায়নি। পুলিশের চোখের সামনেই দৌড়ে পার হচ্ছেন অনেকেই। এতে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হওয়ার যেমন সম্ভাবনা থাকছে তেমনি সড়কে গাড়ির স্বাভাবিক চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটে কিছুটা হলেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
বনানী ১১ নং সড়কে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এস্কেলেটর বা চলন্ত সিঁড়ির ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও পথচারীরা রাস্তার মাঝ দিয়ে দৌড়ে পার হচ্ছেন। এ ফুটওভার ব্রিজের ব্যবহার নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
এসএম/জেডএস