ঢাকা: ঢাকা-কলকাতা রুটের ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ যাত্রীদের জন্য ফের বড় সুখবর বয়ে এলো। যাত্রী দাবির মুখে দু’সরকার সপ্তাহে তিনদিনের পরিবর্তে চারদিন ঢাকা-কলকাতার মধ্যে 'মৈত্রী এক্সপ্রেস' চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
'মৈত্রী এক্সপ্রেস' যাত্রীদের শুভ দিনটি হচ্ছে শুক্রবার (১১ নভেম্বর)। শনিবার সকাল সোয়া ৮ টায় রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক চতুর্থ মৈত্রী এক্সপ্রেস উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন, রেলের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মু. শরিফুল আলম।
অপরদিকে ভারতের রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু শুক্রবার সকাল সোয়া ৭ টায় দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কলকাতার চতুর্থ মৈত্রী এক্সপ্রেস যাত্রার সূচনা করবেন।
যাত্রীরা টিকিট না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মৈত্রী রেল বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ইতোমধ্যে কলকাতায় পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে নতুন যাত্রার বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় রেল বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক (ট্রাফিক) মনোজ কুমার শ্রীবাস্তব।
উভয় দেশে বেশ ঘটা করেই ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু প্রথম দিকে যাত্রী অভাবে প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল মৈত্রী। ক্রমাগত লোকসান গুনতে থাকায় দু’পক্ষ মৈত্রী নিয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। তবে এখন মৈত্রীতে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, এর ফলে যাত্রীরা চাহিদার দিনে অনেক সময় টিকিট পান না। আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসনের টিকিট পক্ষকালের আগে পাওয়া না। এজন্য যাত্রীরা সপ্তাহে ছয়দিন মৈত্রী চালানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
এখন প্রতি মৈত্রী এক্সপ্রেস থেকে বাংলাদেশ দুই কোটি টাকা আয় করে। অর্থাৎ তিন মৈত্রী এক্সপ্রেস থেকে বাংলাদেশের আয় হয় ছয় কোটি টাকা। এ আয়ে উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ।
আকাশপথ বা স্থল পথের মতো মৈত্রী এক্সপ্রেসের সিংহভাগ যাত্রী বাংলাদেশের মানুষ। শিক্ষা, চিকিৎসা, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ছাড়াও বহুজনই ভ্রমণের জন্য বেছে নেন কম খরচের হাতের কাছের কলকাতাকেই।
যাত্রীদের বাড়তি মৈত্রীর দাবির মুখে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার চলতি বছরের ১০ আগস্ট ঢাকায় দুই দেশের রেলসহ সংশিষ্ট প্রতিনিধিদের বৈঠকে মৈত্রী এক্সপ্রেস বাড়িয়ে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। চতুর্থ 'মৈত্রী এক্সপ্রেসটি ১১ নভেম্বর থেকে চলবে প্রতি শুক্রবার কলকাতা থেকে ও শনিবার ঢাকা থেকে।
বর্তমানে মৈত্রী ঢাকা থেকে প্রতি সপ্তাহের বুধ, শুক্র ও রোববার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে কলকাতার চিৎপুর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর শনি, সোম ও মঙ্গলবার সকালে কলকাতা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে আসে ঢাকার গন্তব্যে। উভয় গন্তব্যে সন্ধ্যা ৬টায় পৌঁছানোর কথা।
চতুর্থ মৈত্রী এক্সপ্রেসটি দর্শনা সীমান্তে এক ঘণ্টা এবং ভারতের গেদে সীমান্তে এক ঘণ্টা করে কাস্টমস-ইমিগ্রেশন সময় ব্যয় হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কেননা বর্তমান তিন মৈত্রীতে উভয় সীমান্তে তিন/সাড়ে তিন ঘণ্টা ব্যয় হয় বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
এসএস/আইএ