ঢাকা: সকাল ৭ টা ১৯ মিনিট। স্পট সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়।
মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) সকালে ৭টা থেকে সায়েন্সল্যাব মোড়ের ফুটওভার ব্রিজের ওপর প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে সকাল সোয়া ৭টায় দেখা যায়, শাহবাগের দিক থেকে আসা একটি মিনি-ট্রাক দেখেই সিগন্যাল দেন ট্রাফিক পুলিশ আব্দুল হালিম।
এ সময় ওই ট্রাক-চালকের সঙ্গে মিনিট তিনেক কথা বলে কাগজপত্র দেখার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে গাড়ি আটকে রেখে পুলিশ বক্সের পেছনে নিয়ে গেলেন চালককে। সেখানে ও চালক মানিব্যাগ খুলে কয়েকটি একশো টাকার নোট গুঁজে দেন।
নোট পেয়ে পেছনের পকেটে ঢুকিয়ে গাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। তখনই আবার এ সিগন্যাল তুলে দিয়ে গাড়ি চলা শুরু হয়।
এভাবে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অন্তত ১০টি মিনি-ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানকে সিগন্যাল দিতে দেখা গেছে।
আব্দুল হালিমের সহযোগিতায় রয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের আরেক সদস্য। ট্রাক বা কাভার্ডভ্যান দেখেই হালিমকে ইশার দিয়ে জানিয়ে দেওয়াই ওই সহযোগীর প্রধান কাজ। ইশারা করা মাত্রই হালিম সিগন্যাল দিয়ে সড়কের একপাশ বন্ধ রাখেন। দফারফা হওয়ার পরই আবার শুরু হয় গাড়ি চলা।
এভাবে যখন সিগন্যাল দেওয়া দরকার তখন সিগন্যাল না দিয়ে যানজট তৈরি করা হচ্ছে। আবার কাভার্ডভ্যান বা মিনি-ট্রাক দেখা মাত্রই সিগন্যাল ফেলে অযথা দীর্ঘ যানজট তৈরি করা হচ্ছে।
সায়েন্সল্যাব মোড়ের আশেপাশের ফুটপাতের একাধিক চায়ের দোকানদার এসব ঘটনার নিয়মিত প্রতক্ষদর্শী। তাদের ভাষ্য, বেশিরভাগ কাভার্ডভ্যান ও মিনি-ট্রাক চালকের হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে না অথবা গাড়ির কাগজপত্রে ত্রুটি থাকে। এ সুযোগ নেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
এসএ/ওএইচ/এমজেএফ