সাতক্ষীরা: চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়ক। সংস্কারের অভাবে ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের অধিকাংশ স্থানেই পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছর আগে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়ক সংস্কার করা হয়। এরপর কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো সংস্কার করা হলেও তা ছিল দায়সারা গোছের। এছাড়া মাঝেমধ্যে গর্তগুলোতে ইট দিয়ে সাময়িকভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।
তবে, যেনতেনভাবে সংস্কার করায় এ সড়কের পুরনো সাতক্ষীরা থেকে রামচন্দ্রপুর, ধুলিহর বাজার থেকে কোমরপুর মাঠ, বুধহাটা সিনেমা হল থেকে চাপড়া পর্যন্ত সড়কের পিচ উঠে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব স্থানে পানি জমে কাদা হয়। চলাচল করতে পারে না বাস-ট্রাক, মোটরসাইকেল এমনকি বাইসাইকেলও। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় আশাশুনি উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষকে।
আশাশুনি থেকে মোটরসাইকেলে সাতক্ষীরা শহরে আসার পথে ব্যবসায়ী ইব্রাহিম খলিল বাংলানিউজকে জানান, সড়কের খুবই দুরাবস্থা। সব জায়গায় গর্ত, কাদা। আর কাদা শুকিয়ে গেলে পুরু ধূলোর স্তর।
সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের বাসচালক আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তার যে অবস্থা, তাতে সাতক্ষীরা থেকে গাড়ি নিয়ে আশাশুনি পৌঁছাতে পারবো কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকতে হয়। মাঝে মাঝে গাড়ির পাতি (স্প্রিং) ভেঙে যায়। তেল বেশি লাগে। সময় মতো পৌঁছুতে না পারলে দিতে হয় জরিমানা। আর যাত্রীরা তো ভোগেই।
মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, আশাশুনিতে প্রচুর মাছ উৎপাদিত হয়। কিন্তু মাছ বাইরে পাঠাতে গেলে পড়তে হয় মহা ঝামেলায়। গাড়ি যেতে চায় না।
সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের কুল্যা এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের কষ্ট নিয়ে কেউ ভাবে না। এই সড়ক পুনরায় নির্মাণে সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হককে এগিয়ে আসতে হবে।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মঞ্জুরুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, বরাদ্দে স্বল্পতা রয়েছে। এর মধ্যেও সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো মেরামতের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ঠিকাদার নির্বাচন হলে কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৬
এসআই