ঢাকা, বুধবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

‘পবা থানার ওসি ক্লোজড’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
‘পবা থানার ওসি ক্লোজড’

গণধর্ষণের মামলা না নিয়ে টাকার বিনিময়ে আপোস ও ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীর পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

রাজশাহী: গণধর্ষণের মামলা না নিয়ে টাকার বিনিময়ে আপোস ও ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীর পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে তাকে ক্লোজড করার আদেশ দেওয়া হয়।

পরে এ আদেশ বিকেলে পবা থানায় পৌঁছায়।

রাজশাহী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র তথ্যটি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে।

তবে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়াকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বাংলানিউজের কাছে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তিনি বলেন, ফোনে কোনো তথ্য দিবো না। আমাদের অফিসে আবেদন করে তথ্য নিতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি আইনে যেভাবে আছে সেভাবে করে নিতে হবে।

এর আগে এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হলে এসপি কার্যালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ২০ নভেম্বর (রোববার) নির্যাতিত মেয়েটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তদন্ত কর্মকর্তা সুমিত চৌধুরীর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এতে মেয়েটি জানান, ঘটনার পরের দিন সকালে সে মামলা করতে পবা থানায় হাজির হয়। কিন্তু ঘটনার বিবরণ শুনেও ওসি শরীফুল ইসলাম তাকে থানাতেই বসিয়ে রাখেন। সে কান্নাকাটি করে এ ঘটনার বিচার দাবি করে মামলা দায়ের করতে চায়। কিন্তু ওসি মামলা করতে মানা করেন। এরপর দিনভর তাকে থানার মধ্যে আটকে রেখে দেন। ডাক্তারি পরীক্ষার কথা বললেও তা করতে দেননি ওসি।

ওই দিন মামলা না নিয়েই নির্যাতিত মেয়েটিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ওসি। এর মধ্যে মামলা না করতে অভিযুক্তরা তাকে বারবার নানাভাবে হুমকিও দেয়। এরপর দিন পুলিশের পক্ষ থেকে মেয়েটিকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। থানাতে বসেই ৪৭ হাজার টাকা দিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা আপোস করে দেন ওসি শরীফুল।
সূত্রটি জানান, এ ঘটনার তদন্তে গণধর্ষণের ঘটনা জোরপূর্বক আপোসের প্রমাণ পাওয়ায় ওসি শরীফুল ইসলামকে পুলিশের সব অপারেশনাল ইউনিট থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়া গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরেরও সুপারিশ করা হয়।

তবে এ ব্যাপারে রাজশাহীর পবা থানায় যোগাযোগ করা হলে থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) হাসমত আলী বলেন ‘ওসি সাহেব নেই। তিনি ছুটি নিয়ে বাড়ি গেছেন’।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
এসএস/জিপি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।