ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে নিষেধ করলেন ডিসি

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে নিষেধ করলেন ডিসি জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে নিষেধ করলেন ডিসি-ছবি: বাংলানিউজ

জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসক ড. মো. বশিরুল আলম।

পাথরঘাটা (বরগুনা): জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসক ড. মো. বশিরুল আলম।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে বাল্যবিয়ে ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে গণস্বাক্ষরতা ক্যাম্পেইন ও আলোচনা সভায় উপস্থিত নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) ও ইমামদের প্রতি তিনি এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

জেলা প্রশাসক এসময় বলেন, অনেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধনে আগাম স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে বয়স বাড়ানো ও কমানোর সুযোগ থাকে। বরগুনার বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি বাল্যবিয়ে বা নারী নির্যাতনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে সরবরাহ করছেন না। শুধু কাজী নয়, বাল্যবিয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালের মধ্যে বরগুনাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আশা করি, শিগগিরই আমরা বরগুনা জেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করতে পারবো। আমাদের একার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।  

পাথরঘাটা উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে ও প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ সভা হয়। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভিন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহেরুন্নাহার মুন্নি, সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, পাথরঘাটা সদর ইউপির চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জিয়াউল হক, নারী নেত্রী মুনিরা ইয়াসমিন খুশি,   সুশীলনের উপজেলা ব্যবস্থাপক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

এসময় বাল্যবিয়ের শিকার নিলুফা আক্তার ও নির্যাতনের শিকার নুরজাহান পাখি  বেগম তাদের অভিজ্ঞতা তুলেন ধরেন।

সভায় উপজেলার নিকাহ রেজিস্টার, ইমাম, পুরোহিত, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সমাজসেবকসহ তিন শতাধিক নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী উপস্থিত ছিল।

এসময় উপস্থিত সবাই ‘জীবন আমার, সিদ্ধান্ত আমার, ১৮-এর আগে বিয়ে নয়, করবো মোরা বিশ্বজয়’- স্লোগান দিয়ে বাল্যবিয়ে ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের অঙ্গীকার করে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
আরবি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।