ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ জুলাই ২০২৪, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

শীতের সবজিতে সিলেটে স্বস্তি

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৭
শীতের সবজিতে সিলেটে স্বস্তি সিলেটের বাজারে শীতের সবজি/ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: পৌষেও এবার সিলেটে জেঁকে বসেনি শীত। তবে এর প্রভাব পড়েনি শাক-সবজি চাষে। প্রতিদিন সিলেটির বাজারগুলো ছেয়ে যাচ্ছে টাটকা সব সবজিতে। ক্ষেতের ফসল বিক্রি করে কাঙ্ক্ষিত দামও পাচ্ছেন কৃষকেরা।

বেশি দাম পেতে গ্রামাঞ্চল থেকে কৃষকেরা সবজি নিয়ে আসছেন শহরের বাজারে।

সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার থেকে তরতাজা সবজি নিয়ে নগরীর রিকাবিবাজারে এসেছেন লিটন মিয়া।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, সুরমার তীরের ক্ষেতে হওয়া শীতের সবজি তিনি কিনে এনেছেন। মোটামুটি সবগুলো সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে। পানি লাউ গোটা ২০ টাকা করে, মিষ্টি কুমড়া ৩০/৫০ টাকা পিস, মুলা হালি ১৫ টাকা, নতুন আলু ১২/১৫ টাকা, ফুলকপি ২০, বাঁধাকপি ১৫, টমেটো ৩০ টাকা এবং বিভিন্ন ধরনের শাক ৫/১০ টাকা আটি বিক্রি করছেন।

সিলেটের বাজারে শীতের সবজি/ছবি: বাংলানিউজলামাকাজি থেকে নিজের ক্ষেতের সবজি বিক্রি করতে আসা জনাব আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিবছর ক্ষেত করি। গতবছরের তুলনায় এবার সবজির ফলন ভালো হওয়ায় দাম অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।

এবার লাল শাক, মুলা, ফুলকপি ও টমেটো ক্ষেত করেছেন জনাব আলী।

সরেজমিন নগরীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার ধারে সাজিয়ে রাখা হয়েছে শীতকালীন সবজি। প্রকারভেদে এসব সবজির দামেও রয়েছে তফাৎ। বেগুন প্রতিকেজি ৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৩০/৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০/৫০ টাকা, লাউফুল, লালশাক, সরষে শাক ও লাউপাতা আঁটি ৫/১০ টাকা। এছাড়াও ধনেপাতাসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি উঠছে বাজারে।

সিলেটের বাজারে শীতের সবজি/ছবি: বাংলানিউজএবার সিলেট বিভাগে ৪৭ হাজার ৫৯৬ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে বলে জানায় সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এরমধ্যে সিলেটে ২১ হাজার ৫০ হেক্টর, মৌলভীবাজারে ৮ হাজার ৪৪২ হেক্টর, হবিগঞ্জে ৭ হাজার ২৫৫ হেক্টর এবং সুনামগঞ্জে ১০ হাজার ৮৪৯ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে।

সিলেটের বাজারে শীতের সবজি/ছবি: বাংলানিউজসিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ চন্দ্র হুড় বাংলানিউজকে বলেন, শীতকালীন সবজির মধ্যে ভুট্টা, বাদাম, চীনাবাদাম, মুগডালে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। মুগডালে ১ হাজার ২শ’ কৃষককে ১২শ’ বিঘা জমিতে ৫ কেজি করে বীজ প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। চীনাবাদাম চাষিদের ১শ’ জনকে ১শ’ বিঘা জমির বিপরীতে ১০ কেজি করে, সরিষা ১ হাজার ৮শ’ জনকে ১ কেজি করে, ভুট্টা ৩শ’ জনকে সব পরিমাণ বিঘা জমির জন্য ২ কেজি করে এবং শাক-সবজির বীজ চার হাজার জনকে ৫ হাজার প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রণোদনা ছাড়াও রোগ-বালাই থেকে শাক-সবজি রক্ষায় কৃষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের সুবিধা নিয়ে সমন্বয় করে যাচ্ছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
এনইউ/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।