ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্নীতি করলে কারো রক্ষা নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৭
দুর্নীতি করলে কারো রক্ষা নেই

দুর্নীতি করলে কারো রক্ষা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক, পরিচালক ও উপপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদী কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা এবং ২০১৭ সালের বেধে দেওয়া কর্মধারা চূড়ান্তকরণের জন্য এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।  

এসময় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, বর্তমান যুগ হচ্ছে স্বচ্ছতার যুগ।

আমাদের মনে রাখতে হবে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে সব কিছুই এখন হাতের মুঠোয়। তাই কমিশন যদি নিজেদের কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির দালিলিক প্রমাণসহ অভিযোগ পায়, তাহলে শুধু চাকরি থেকে বিদায় নয়, তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। এছাড়া আমাদের সবার জন্য ২০১৭ সাল হবে কঠোর বছর।

তিনি আরো বলেন, কিছু কিছু গণমাধ্যমে খবর এসেছে দুদকের প্রতি জনগণের আস্থা কিছুটা বেড়েছে। এটা আপনাদের কার্যক্রমের জন্য হয়েছে, কিন্তু মনে রাখতে হবে একজনের একটি অনৈতিক কাজই জনআস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এক্ষেত্রে তিনি তত্ত্বাবধানকারী কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, আপনাদের অধীন কর্মকর্তাদের কার্যক্রম সঠিকভাবে তত্ত্বাবধান করুন।

দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেন, যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যদি কৌশলগত লক্ষ্য না থাকে তাহলে কোনো কাজই সুষ্ঠুভাবে শেষ করা সম্ভব নয়। কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদী কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা অবশ্যই সুনির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, বাস্তবায়নযোগ্য, প্রাসঙ্গিক, সময়াবদ্ধ হতে হবে।

কমিশনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ২০১৬ সালে ধারণা এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কিছু কার্যক্রম আমরা গ্রহণ করেছি। এবছর কর্মকর্তাদের নৈতিক স্থলনজনিত যে কোনো অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ঘরে-বাইবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি গ্রহণ করবো। এছাড়া আমরা কে কোথায় কি করি তা সবাই জানেন?- প্রশ্ন রাখেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ বলেন, দুদকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন ব্যবস্থায় কাজ করা। শুধু তাই নয়, দুর্নীতির উৎস-শনাক্তকরণ করে পদ্ধতিগত উন্নয়নের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশন ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, কমিশনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতার আওতায় এনেই কেবল অন্যদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা সহজ হবে। গণশুনানিতে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে তিনি বলেন, অনেক দফতরেই ঘুষের হার নির্ধারণ করা আছে। সাধারণ মানুষ গণশুনানিতে প্রকাশ্যে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করছে।

ওই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, কমিশনের মহাপরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, আসাদুজ্জমান, ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া, আতিকুর রহমান খান, মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
এসজে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।