ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘ডিএনসিসি কারও প্রতিপক্ষ নয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৭
‘ডিএনসিসি কারও প্রতিপক্ষ নয়’ সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আনিসুল হক/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাস্তার জায়গা পুনরুদ্ধার করতে গিয়ে কয়েকটি মহল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে। গেল মাসে ডিএনসিসি প্রায় এক হাজারের বেশি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। আর এতে কিছু কিছু মহল ডিএনসিসিকে প্রতিপক্ষ মনে করছে।  

বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) গুলশান ২ নম্বরের গুলশান সেন্টার পয়েন্টে ডিএনসিসির উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আনিসুল হক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এসব উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মধ্য দিয়ে পরিকল্পিতভাবে শহরের রাস্তা প্রশস্ত হচ্ছে।

এই শহরটিকে বাসযোগ্য করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে সেবাদানকারী এই প্রতিষ্ঠানটি।   ডিএনসিসি কারও প্রতিপক্ষ নয় বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।  

৫ ফুট ১০ ফুট জায়গা নিজের সীমানার মধ্যে এনে সাধারণ মানুষের জমি দখল করে ব্যক্তিগত সম্পদের পাহাড় গড়ে সন্তান ও পরের প্রজন্মকে নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

শহরের বিভিন্ন কোনায়-মহল্লায়-মার্কেটে প্রতিনিয়ত অগ্নিকাণ্ড ঘটছে উল্লেখ করে মেয়র আনিসুল হক বলেন, এটি আমাদের জন্য বিরাট অশনি সংকেত। শহরকে জ্বলতে দেওয়া যাবে না। প্রতিটি বাড়ি-কর্মস্থানকে নিরাপদ করতে হবে।

‘এতে যদি স্বল্পকালীন ব্যবসায়িক স্বার্থত্যাগ করতে হয় এবং নগরবাসীর বৃহৎ স্বার্থের দিকে তাকিয়ে যদি দোকান-পাট ও আবাসনের জায়গাটি সংস্কার করতে হয় তবে তাই হোক। ’ যোগ করেন মেয়র আনিসুল হক।

তিনি বলেন, আমাদের পরের প্রজন্মের জন্য এই শহরটিকে নিরাপদ এবং বাসযোগ্য করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই।

তিনি বলেন, নগরীর এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ একটাই- সকলকে এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অনিয়ম আর অবহেলার বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে।

ডিএনসিসি কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু ব্যবসায়ী পথে বসেছেন। আগামী কয়েক বছরেও হয়তো এই ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।

‘এই ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকেই আবার আপনাদের জীবন জাগবে। ডিএনসিসি আপনাদের সহযোগিতায় পাশেই আছে, থাকবে। ’  

সম্প্রতি কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেখানে বস্তিবাসীর ঘর পুড়েছে, সম্বল হারিয়েছে, তাদের খাবারের ব্যবস্থা আমরা করেছি। লোকের কাছে হাতে ধরে অর্থ এনে ক্ষতিগ্রস্থদের বসবাসের জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করেছি।

ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ও ভবনের বিষয় তিনি বলেন, মোট ৩৪৬টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ এর মধ্যে ১৪১টি ভবন প্রাইভেট। আর ডিএনসিসির ৭টি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ আছে। এগুলো যে কোনো সময় পড়ে যেতে পারে।

নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ ও সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ মার্কেট ও আবাসন কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে না? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র আনিসুল হক বলেন, আপনারা আমার সঙ্গে আসুন, দেখুন কেন উচ্ছেদ করা সম্ভব হচ্ছে না। এসব স্থানে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাতে গেলে তারা আমাদের প্রতিপক্ষ ভেবে সংঘর্ষ সৃষ্টি করে।

** ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
এসজেএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।