ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুই বছরে মালয়েশিয়ায় দেড় লাখ অবৈধ অভিবাসী আটক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
দুই বছরে মালয়েশিয়ায় দেড় লাখ অবৈধ অভিবাসী আটক দুই বছরে মালয়েশিয়ায় দেড় লাখ অবৈধ অভিবাসী আটক

ঢাকা: গত দুই বছরে মালয়েশিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে এক লাখ ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট।  

সোমবার (১০ জানুয়ারি) ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুসতাফার আলী এ তথ্য জানান।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুসতাফার আলী এ তথ্য জানান।

মুসতাফার আলী বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৬ হাজার ৮৭০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। ২০১৫ সালে মানবপাচারের অভিযোগে ১৫টি মামলা নথিভুক্ত হয়। এসব মানবপাচার অপরাধের সঙ্গে দুই কোটি ৫০ লাখ রিঙ্গিতের (৪৪ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকার) লেনদেন জড়িত।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ১৮ লাখ নিবন্ধিত বিদেশি শ্রমিক রয়েছে এবং গণনা কার্যক্রম চলছে। আমার ধারণা এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ আমাদের কাছে অবৈধ বিদেশি শ্রমিকের কোনো পরিসংখ্যান নেই।

কিছু নির্দিষ্ট শিল্পে আরও বিদেশি শ্রমিকের প্রয়োজন, সেটা আমিও বুঝি। কিন্তু তাদের সঠিক নিয়ম ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আনতে হবে বলে উল্লেখ করেন মুসতাফার আলী।

নিউ স্ট্রেইট টাইমসে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, মালয়েশিয়া সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে শ্রমিকদের বাৎসরিক কর (লেবি) নিয়োগকর্তা ও মালিকদের দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। তবে মালিক ও নিয়োগকর্তারা বিষয়টি নিয়ে গড়িমশি করছে। এর প্রেক্ষিতে ‘নিয়োগকর্তা আবশ্যিক প্রতিশ্রুতি’ (এম্পলয়ার্স মেন্ডাটরি কমিটমেন্ট, ইএমসি) চেয়েছে সরকার। সম্প্রতি ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ইএমসি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে বলে জানান মুসতাফার আলী।

তিনি বলেন, নিয়োগ দেওয়া থেকে শুরু করে আবার দেশে ফেরত যাওয়া পর্যন্ত শ্রমিকের দ্বায়িত্ব যেন মালিকপক্ষ নেয় সেটি নিশ্চিত করতেই আমাদের ইএমসি বাস্তবায়ন করতে হবে। আশাকরি ইএমসি বাস্তবায়িত হলে দেশী-বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
এমএন/এনটি

বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৬ হাজার ৮৭০টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। ২০১৫ সালে মানবপাচারের অভিযোগে ১৫টি মামলা নথিভুক্ত হয়। এসব মানবপাচার অপরাধের সঙ্গে দুই কোটি ৫০ লাখ রিঙ্গিতের (৪৪ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকার) লেনদেন জড়িত।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ১৮ লাখ নিবন্ধিত বিদেশি শ্রমিক রয়েছে এবং গণনা কার্যক্রম চলছে। আমার ধারণা এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ আমাদের কাছে অবৈধ বিদেশি শ্রমিকের কোনো পরিসংখ্যান নেই।

কিছু নির্দিষ্ট শিল্পে আরও বিদেশি শ্রমিকের প্রয়োজন, সেটা আমিও বুঝি। কিন্তু তাদের সঠিক নিয়ম ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আনতে হবে বলে উল্লেখ করেন মুসতাফার আলী।

তিনি বলেন, নিউ স্ট্রেইট টাইমসে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, মালয়েশিয়া সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে শ্রমিকদের বাৎসরিক কর (লেবি) নিয়োগকর্তা ও মালিকদের দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। তবে মালিক ও নিয়োগকর্তারা বিষয়টি নিয়ে গড়িমশি করছে। এর প্রেক্ষিতে ‘নিয়োগকর্তা আবশ্যিক প্রতিশ্রুতি’ (এম্পলয়ার্স মেন্ডাটরি কমিটমেন্ট, ইএমসি) চেয়েছে সরকার। সম্প্রতি ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ইএমসি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, নিয়োগ দেওয়া থেকে শুরু করে আবার দেশে ফেরত যাওয়া পর্যন্ত শ্রমিকের দ্বায়িত্ব যেন মালিকপক্ষ নেয় সেটি নিশ্চিত করতেই আমাদের ইএমসি বাস্তবায়ন করতে হবে। আশাকরি ইএমসি বাস্তবায়িত হলে দেশী-বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
এমএন/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।