শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে মেলার উদ্বোধন করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
একই মাঠে বিকেলে নানান জাতের পিঠা নিয়ে বসবে পিঠা মেলাও।
গেট পাস ছাড়া মেলায় প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা বিভিন্নস্থান থেকে বড় বড় মাছের পরসা নিয়ে বসেছেন এ মেলায়। বেশ দামও হাঁকাচ্ছেন তারা। ক্রেতারাও চাহিদা ও সার্মথ্য অনুযায়ী দাম কষে যাচ্ছেন।
বিসমিল্লাহ মৎস্য আড়ৎ সুদূর চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে এসেছে ১৭ কেজি ওজনের কোরাল, ১১ কেজি ওজনের বোয়াল, ১০ কেজির ওজনের রুই-কাতলসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। এই স্টলের মালিক নূর ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কোরাল মাছটি ৩৪ হাজার টাকা দাম হাঁকানো হয়েছে। ৩০ হাজার পর্যন্ত উঠলে বিক্রি করা হবে। বোয়ালের দামও চাওয়া হয়েছে ২২ হাজার টাকা।
রুপালি মৎস্য আড়তে ১৩ কেজি ওজনের গ্রাসকাপ মাছটি নিতেও অনেকেই দাম কষে যাচ্ছেন। বিক্রেতা বিরুদাস মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন ২২ হাজার টাকা। ২০ হাজার টাকা হলে বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।
মেলার ক্রেতা আক্কাস আলী বাংলানিউজকে জানান, বড় মাছ খাওয়ার শখ অনেক দিনের। তাই গ্রামের কয়েকজন মিলে মাছ কিনতে মেলায় এসেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আহম্মেদ লিমন, আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ের উপাধ্যাক্ষ গোলাম মর্তুজা ফারুক, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মাস্টার ও মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক একরামুল হক।
স্থানীয় বউ-জামাই মেলা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে মৎস্য মেলায় ২৫টি স্টল স্থান পেয়েছে। পিঠা মেলায় স্টল রয়েছে প্রায় ৫০টি। যা শুক্রবার বিকেলে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানান পিঠা মেলার আহ্বায়ক মিজানুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
আরবি/আইএ