ইতোমধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত কনভেনশন হল ও পার্টি সেন্টারে গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে তারা।
এর অংশ হিসেবে রাজধানীর পুলিশ কনভেনশন হল ও লেডিস ক্লাবে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের অভিযান চালায় সংস্থা দুটি।
এ বিষয়ে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রাজধানীতে কোটি কোটি টাকার অর্থ ব্যয় করে চোখ ধাঁধানো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠান যারা আয়োজন করেন তাদের আয়ের উৎস কি সেটা জানতে দুদক ও এনবিআর প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহে দুইটি কনভেনশন হলে গিয়েছিলো। এখন থেকে যেখানে বড়বড় অনুষ্ঠান হবে দুদক সেখানে যাবে।
তিনি আরো বলেন, যে দুটি কনভেশন সেন্টারে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গিয়েছেন সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে? কি পরিমাণ অর্থ সেই আয়োজনে ব্যয় করা হয়েছে? শুধু তাই নয়, পরিপূর্ণ নিয়ম নীতি মেনে আয়োজকরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন কী না? কিংবা সঠিক ভ্যাট দিয়েছেন কী না তারও পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে আয়োজকদের বিষয়ে এখন অনুসন্ধান করা হবে। তাদের আয়োজন করা অনুষ্ঠানের অর্থ কোথায় থেকে এসেছে সেটাও অনুসন্ধান করবে দুদক বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে দুদক সচিব আবু মো.মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে জানিয়েছেন,দুদক ও এনবিআর এর মধ্যে কোনো ধরনের যৌথ দল গঠন করা হয়নি। কিন্তু কমিশনে বিভিন্ন সময়ে বড়বড় অনুষ্ঠান আয়োজন করার বিষয়ে নালিশ রয়েছে। যে কারণে দুদকের প্রতিনিধি দল দুটি কমিউনিটি সেন্টারে প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহে সেখানে যায়। অন্যদিকে এনবিআর এর সদস্যরাও দুদকের সঙ্গে গিয়েছে কারণ যারা কোটি টাকার অর্থ খরচ করে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তারা নিশ্চয় ভ্যাট ও ট্যাক্স ফাঁকি দেন। কেননা অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন ছাড়া কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব নয়। এজন্য দুদকের সঙ্গে তারা গিয়েছে। এনবিআর দুদকের অংশীজন।
অন্যদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে দুদক ও এনবিআর একে অপরের বন্ধু হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া যারা অন্যায় করছে এবং ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে তাদেরকে ধরতে এখন থেকে দুদককে সাথে নিয়েই অভিযান পরিচালনা করবে এনবিআর। কেননা এনবিআর চাই সবাই সঠিকভাবে রাজস্ব প্রদান করুক। যার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ৭টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননায় ভূষিত করেছে এনবিআর।
তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়নে রাজস্বের বিকল্প নেই। এজন্য রাজধানীতে যারা জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে তারা সঠিকভাবে ভ্যাট প্রদান করছে কী না? কিংবা তাদের প্রকৃত আয়ের উৎস কি সেটা খতিয়ে দেখতেই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে এই অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
এসজে/আরআই