শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার হাটাব এলাকা থেকে নিহত গৃহবধূর স্বামী রাশিদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।
নিহত বাবলী আক্তার হাটাব এলাকার বাবুল মিয়ার মেয়ে।
বাবলীর বাবা বাবুল মিয়া বাংলানিউজ জানান, পাঁচ মাস আগে তার মেয়ে বাবলীর সঙ্গে রাশিদুল ইসলামের বিয়ে দেন। বিয়ের কয়েক দিন পার হওয়ার পর থেকেই মেয়ের জামাই রাশিদুলসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তিনলাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বাবলীর কাছে ফের তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন রাশিদুল। একপর্যায়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বাবলীকে শারীরিক নির্যাতন চালায়।
শুক্রবার ভোরে রাশিদুল ইসলাম, শ্বশুর আমির হোসেন, ননদ রেশমাসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাবলীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রাখেন বলে দাবি করেছেন বাবুল মিয়া।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ভোরে গৃহবধূর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাবলীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
এএটি/টিআই