রাজধানীর খাবারের দামকেও হার মানাচ্ছে এসব দোকান। একই অবস্থা এক ফুড প্যালেসের অন্যান্য খাবারের দামেও।
গলাকাটা দামের এ চিত্রটি ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের গাজীপুরের মাস্টারবাড়ি এলাকার তালুকদার ফুড প্যালেসের।
এখানকার সিএনজি স্টেশনের চৌহুদ্দীতে আকর্ষণীয় সাজে তালুকদার নামে একজন ফুড প্যালেস গড়ে সুকৌশলে যাত্রীদের পকেট কাটছেন প্রতিদিন।
ফাস্টফুড, আইসক্রিম, জুস, হরেক রকমের চকলেটসহ সব রকমের খাবারেরই এমন অস্বাভাবিক দাম।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেলো এমন চিত্র। মহাসড়কের পাশের এসব দোকানে নূন্যতম কোনো তদারকি না থাকায় ইচ্ছামতো তারা যাত্রীদের কাছে থেকে খাবারের অতিরিক্ত দাম আদায় করছে।
জানা যায়, কমিশনের চুক্তিতে বাস চালক যাত্রা বিরতিতে নির্দিষ্ট হোটেল বা রেস্তোরাঁয় গাড়ি দাঁড় করায়।
তালুকদার ফুড প্যালেসের ম্যানেজার শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, মহাসড়কে পাশের দোকানগুলোর কাস্টমার ওয়ান টাইম। এ কারণে অনেক জায়গার চেয়ে এখানে দাম কিছুটা বেশি। বছর গড়াতেই এ দাম বাড়ানো হয়।
এ ফুড প্যালেসের দামের তালিকাতেও রয়েছে গড়মিল। দেয়ালে সাঁটানো খাবারের তালিকায় চিকেন ফ্রাই, চিকেন পিৎজা, চিকেন বার্গার, এগ চপ, চিকেন রোলের দাম উল্লেখ নেই। একেকজনের কাছে থেকে একেক রকম দাম আদায় করতেই কর্তৃপক্ষ এমন ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছে, অভিযোগ যাত্রীদের।
তারা বলেন, এসব দোকানের খাবারের দামের সঙ্গে অন্য জায়গার খাবারের দামের কোনো সামঞ্জস্য নেই। প্রতিটি আইটেমেই দাম ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখা হয়।
আরো ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কের পাশের হোটেল বা রেস্তোরাঁয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না হচ্ছে।
খাবারগুলো ঢেকে না রাখায় মশা-মাছি উড়ে এসে বসছে তাতে। এতে করে জনস্বাস্থ্যও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময় ০৫২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
এমএএএম/এটি