ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ধুলোয় ধূসর বাড্ডা লিংক রোড-নতুন বাজার সড়ক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
ধুলোয় ধূসর বাড্ডা লিংক রোড-নতুন বাজার সড়ক ধূলোর কারণে রাস্তায় চলতে হয় মাস্ক পরে। ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: ভাই এই রাস্তার কাজ করছে অনেক দিন হয়ে গেছে। কিন্তু দেখেন এখনো এখানকার ময়লাগুলো সরানো হয়নি। রাস্তায় এত ধূলা যে, দোকানে বসতেও পারি না। প্রতিদিন সকাল বিকেল দু্ইবার পানি দেই তারপরও কাজ হয় না।

রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় বাংলানিউজকে কথাগুলো বলছিলেন সেখানকার এক স্টিল আলমিরার দোকানদার আয়নাল হক।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর বাড্ডা লিংকরোড থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত রাস্তার পাশে খোঁড়াখুঁড়ির পর সেখানকার অতিরিক্ত অংশ, বালু রাস্তার পাশেই পড়ে আছে।

আর তা থেকে উড়ছে ধুলো-বালি। তাতে ভোগান্তিতে পড়ছেন এই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা নগরবাসী।
 
এছাড়াও এসব এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ির ভোগান্তির পাশাপাশি রাস্তা দখল করে ইট-বালু রাখা, রড দিয়ে রাস্তা আটকিয়ে রাখা, রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রাখা এসব সমস্যাও চোখে পড়ে।  
খোঁড়াখুঁড়ির কারণে রাস্তায় জমেছে ধুলোবালি, আছে আবর্জনাও।  ছবি: আনোয়ার হোসেন রানাধুলোর আস্তরণের কারণে এই এলাকার একটি গাছেরও নিজস্ব রং নেই। গাছগুলো দেখলে মনে হবে তারা সবাই নিজের গায়ের রং পাল্টিয়ে ধুলোর রঙে সেজে বসে আছে। রাস্তার দুই পাশ যেন ধুলোর বাহারে পরিণত হয়েছে।
আয়নাল আরো বলেন, ধূলার জন্য আমরা টিকতে পারছি না। একই কথা বললেন শাহজাদপুর এলাকার একটি বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রেজাউল হোসেন।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভাই সারাদিন এখানে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ধূলার জন্য বসে থাকতে কষ্ট হয়। তাই মুখে মাস্ক লাগাইছি।
 
তিনি বলেন, রাস্তার কাজ শেষ। কিন্তু ময়লাগুলো এখনো নিলো না।  এই ময়লাগুলোর জন্যই রাস্তায় এতো ধুলো-বালি।  যারা এগুলার দায়িত্বে আছেন, তারা কী করেন কিছুই বুঝি না।  
ধুলোবালি আর ময়লার ভ্যানের কারণে নাক চেপে চলতে হচ্ছে পথচারীদের।  ছবি: আনোয়ার হোসেন রানাওই এলাকার একজন বাসিন্দা আবু তাহের। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ধুলো-বালির জন্য তো রাস্তায় বের হওয়াই মুশকিল। এই যে রাস্তা ঠিক করছে। ঠিক করার পর বর্জ্যগুলো যদি নিয়ে যেতো তাহলে কিন্তু ধুলা এতোটা থাকতো না। এখন আমাদের কিছুই বলার নেই।     
 
কেউ সময় মতো তাদের কাজ করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেই দল ক্ষমতায় আসে কাজগুলো সেই দলের লোকেরাই করে। তাই যতো সমস্যা। যারা কাজ করবে পুরো কাজ না হওয়া পর্যন্ত যদি বিল আটকা থাকতো, তাহলে সবাই ঠিকমত কাজ করতো।
 
রিকশাচালক মনির বলেন, রাস্তা ঠিক না করায় আমাদের খুব কষ্ট। আমরাতো রাস্তার মাঝখান দিয়া রিকশা চালাইতে পারি না। একপাশ দিয়া চালাইতে অয়। দেখেন রাস্তা ভাঙ্গা আর ধূলার কী অবস্থা। কবে এগুলান ঠিক করছে। এখন এই ময়লাগুলো নিয়ে যাবে না? প্রশ্ন রাখেন মনির।  
ধুলোবালির কারণে মাস্ক পরে চলতে হয় রাস্তায়।  ছবি: আনোয়ার হোসেন রানাএ বিষয়ে কথা বলতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে বারবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
 
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মনজুর ই মওলার সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শেষ হলে সেখানকার বর্জ্য সরিয়ে ফেলার কথা। কেন এখনো সরানো হয়নি বুঝতেছি না। বিষয়টি ‍আমাদের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে তার নজরে আনুন।
  
প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
এমএইচকে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।