এর আগে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বাহিনী প্রধান জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ২০ সদস্য।
র্যাব-আট এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।
আত্মসমর্পণ কারীরা হলেন-জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান মো. জাহাঙ্গীর শিকারি (৩৮), শেখ মো. ফরিদ (৩৮), মো. মারুফ শেখ (৪১), মো. আকরাম শেখ (৩৫), মো. মোস্তাহার শেখ (৫০), মো. এরশাদ খান (৩৫), মো. গাজী তরিকুল ইসলাম (৩৫), মো. কামরুল শেখ (২২), মো. কামরুল হাসান (৩৮), মো. হায়দার শেখ (২৯), মো. হারুন শেখ (৫৫), মো. আইয়ুব আলী শেখ (৫২), মো. মাফিকুল গাজী (৩৮), মো. কবির গাজী (৩২), মো. পলাশ হোসেন (৩৫), মো. বাছের শিকদার (২৬), মো. আবদুল হান্নান সরদার (২৩), মো. ইজাজ মোল্লা (৪১), মো. মহাসিন মোড়ল (৩৯) ও মো. ইয়াকুব সরদার (২৯)।
তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি ৩১টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিভিন্ন অস্ত্রের এক হাজার ৫০৭ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
মেজর আদনান কবির জানান, ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জাহাঙ্গীর বাহিনী সুন্দরবনে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। শিবসা নদী সংলগ্ন বিভিন্ন খাল ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের কাটেশ্বর ও সাপখালী সংলগ্ন অঞ্চলের বনজীবী ও জলজীবী সাধারণ মানুষ তাদের টার্গেট ছিল। সাতক্ষীরা, খুলনা এবং বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন থানায় তাদের নামে/বেনামে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন দস্যু বাহিনী র্যাব এর হাতে নিস্ক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি র্যাব-আট এর কঠোর অভিযানের কারণে কোণঠাসা হয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা অনুধাবন করেছেন যে অর্থের লোভ ও কুপ্ররোচনায় ভুল পথে পরিচালিত হয়েছিল তারা।
উল্লেখ্য, র্যাবের কঠোর তৎপরতার কারণে গত বছরের ৩১ মে সুন্দরবনের কুখ্যাত দস্যু মাস্টার বাহিনীর ১০ সদস্য ৫২টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৪৫০০ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং গত ১৪ জুলাই মজনু ও ইলিয়াস বাহিনীর ১১ সদস্য ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০২০ রাউন্ড গোলাবারুদ নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
এরপর ৭ সেপ্টেম্বর ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০০৪ রাউন্ড গোলাবারুদসহ আলম ও শান্ত বাহিনীর ১৪ জন আত্মসমর্পণ করেন।
১৯ অক্টোবর সাগর বাহিনীর ১৩ জন ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৯৬ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ২৭ নভেম্বর খোকাবাবু বাহিনীর ১২ জন ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০০৩ রাউন্ড গোলাবারুদসহ র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
সর্বশেষ ৬ জানুয়ারি ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক হাজার ১০৫ রাউন্ড গোলাবারুদসহ নোয়া বাহিনীর ১২ সদস্য র্যবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
আট মাসে মোট আট দস্যু বাহিনীর ৭২ জন র্যাব-আট এর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে মোট ১৬৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও আট হাজার ৬৩৬ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
২৯ জানুয়ারি ৩১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও দেড় হাজার রাউন্ড গোলাবারুদসহ জাহাঙ্গীর বাহিনীর ২০ সদস্য র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে র্যাব-আট এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার উজ জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
এমএস/এসআই