ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পার্বত্যাঞ্চলের নদী খনন করা হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
পার্বত্যাঞ্চলের নদী খনন করা হবে সংবাদ সম্মেলনে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চলাচল উপযোগী করতে পার্বত্য চট্টগ্রামের নদীগুলোকে খননের পরিকল্পনা নিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় নদীর সীমানা নির্ধারণ, নাব্যতা বৃদ্ধি এবং স্থলবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নৌ পরিবহনমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য জেলার অনেক নদী ভরাট হয়ে গেছে।

এ নদীগুলো খননের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নদীগুলো খনন করে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হবে। এছাড়া তিন জেলায় ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে তিনটি স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে চট্টগ্রামের পার্বত্য জেলাগুলো বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এর প্রসারে নদীখননের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে- কাচালং, মাইনি, ইছামতি, কর্ণফূলি, চেংনি, মাতামুহুরি, সাঙ্গু, ফেনী ও হালদা। এছাড়া আরও কিছু শাখা নদী খনন করা হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনো সরকার পার্বত্য জেলার নদী খননের উদ্যোগ নিলো। এর ফলে ওই এলাকার মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হবে, তেমনি তারা ব্যবসা-বাণিজ্যেও বড় অবদান রাখতে পারবে।

শাজাহান খান বলেন, ‘প্রথমে ওই জেলাগুলোর নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হবে। সীমানা নির্ধারণ করবে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। এরপর নদীগুলো খননের কাজ করবে বিআইডব্লিউটিএ। '

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা ও খননের কাজ গতিশীল করেছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৪টি ড্রেজার কিনেছে সরকার। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আরও ২০ টি ড্রেজার কেনার কাজ চলছে।   এছাড়া বেসরকারিভাবে আরও ৫০টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব দিয়ে নদী খননের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ কি.মি. নৌপথ খনন করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনজেলায় তিনটি স্থলবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে খাগড়াছড়ির রামগড়ের সঙ্গে দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সঙ্গে মায়ানমারের মংডু এবং রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার তেগামুখের সঙ্গে ভারতের মিজোরামের খেয়াপুচের মধ্যে স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে। এ নিয়ে দেশে মোট স্থলবন্দরের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৩টিতে।

নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, এ বন্দর তিনটি হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার ঘটবে। এছাড়া অনেক অবৈধ মালামাল আনা-নেওয়া কমে যাবে। তখন বৈধভাবেই মানুষ ব্যবসা করবে। কর্মসংস্থান হবে।   ব্যবসার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরা চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭/আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা
এমএন/ওএইচ/এইচএ/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।