পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শরিফ উদ্দিন রতনের স্ত্রী ও তার এক শ্যালিকাকে গ্রেফতার করে। তবে পলাতক থাকায় রতনসহ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম আলী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মূলহোতা শরিফ উদ্দিন রতনসহ মামলার অপর আসামিদের ধরতে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মূলত তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
গত ২৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) সন্ধ্যায় শহরের মালগ্রাম কলেজপাড়া এলাকায় বৃদ্ধা রাবেয়ার ভাজিপুরির দোকানে পাপড় কিনতে আসেন একই এলাকার হবিব কসাইয়ের ছেলে শরিফ উদ্দিন রতন। ভেজে দিতে দেরি হওয়ায় ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে লাথি মারেন তিনি। এতে তেল ভর্তি কড়াই রাবেয়ার শরীরে গিয়ে পড়ে। ফুটন্ত তেলে ঝলসে যায় মুখমণ্ডলসহ প্রায় সারা শরীর।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৮ জানুয়ারি (শনিবার) দুপুরে ঢাকায় আনা হয় বলে বাংলানিউজকে জানান রাবেয়ার ভাই মো. চাঁন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি/আইএ
** বগুড়ায় দোকানিকে গরম তেলে ঝলসে দিলো কাস্টমার