এর মাধ্যমে গঙ্গানির্ভর এলাকার ১২৩টি আঞ্চলিক নদীতে পানিপ্রবাহ অক্ষুণ্ণ রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে এম. আবদুল লতিফের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানান তিনি।
পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলের পানি সমস্যার সমাধানসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর নাব্যতা সৃষ্টি, লবণাক্ততার পরিমাণ হ্রাসকরণ, গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ প্রতিবেশ ও পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার গঙ্গা ব্যারেজ সমীক্ষা প্রকল্প গ্রহণ ও তা সমাপ্তকরণের মাধ্যমে গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তুতি শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রস্তাবিত গঙ্গা ব্যারেজের ভারতীয় অংশে প্রভাব নিরূপণের জন্য ৮ সদস্যের ভারতীয় কারিগরি দল গত বছরের ২৪-২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন। বাংলাদেশ ও ভারতের কারিগরি দল প্রকল্পের সাইট পরিদর্শন করেন। ২৭ অক্টোবরের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে এ প্রকল্প সম্পর্কিত উভয় দেশের টেকনিক্যাল সাব-গ্রুপ ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, টেকনিক্যাল সাব-গ্রুপের কার্যপরিধির বিষয়ে যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে উভয় দেশের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। গঙ্গা ব্যারেজ নির্মিত হলে গঙ্গানির্ভর এলাকায় ১২৩টি আঞ্চলিক নদীতে পানি প্রবাহ অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব হবে। জলাধারের পানি প্রকল্প এলাকায় সারা বছর সেচ, মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসন এবং প্রকল্প এলাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধারসহ সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও বনজ সম্পদ রক্ষার কাজে ব্যবহৃত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
এসকে/জিপি/এএসআর