ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নাশকতার উদ্দেশে সংগঠিত হচ্ছিলো জামায়াতের নারী সদস্যরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭
নাশকতার উদ্দেশে সংগঠিত হচ্ছিলো জামায়াতের নারী সদস্যরা গোপন বৈঠকের সময় জামায়াতের নারী শাখার ২৮ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।

ঢাকা: অবৈধভাবে সরকার উৎখাত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিভিন্ন নাশকতার ছক কষছিলেন জামায়াতের নারী শাখার সদস্যরা। এজন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তারা গোপন বৈঠকও করেছেন।

শুক্রবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাশকতার এমন পরিকল্পনার তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় গোপন বৈঠকের সময় জামায়াতের নারী শাখার ২৮ সদস্যকে আটক করে পুলিশ।

আটকরা হলেন- জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি শাহনাজ বেগম (৫৬), রোকন পর্যায়ের নেত্রী নাঈমা আক্তার (৫৫), উম্মে খালেদা (৪০), জোহরা বেগম (৩৫), সৈয়দা শাহীন আক্তার (৪০), উম্মে কুলসুম (৪২), জেসমিন খান (৪৩), খোদেজা আক্তার (৩২), সালমা হক (৪৫), সাকিয়া তাসনিম (৪৭), সেলিমা সুলতানা সুইটি (৪৮), হাফসা (৫৫), আকলিমা ফেরদৌস (৩৭), রোকসানা বেগম (৫১), আফসানা মীম (২৫), শরীফা আক্তার (৫৩), রুবিনা আক্তার (৩৮), তাসলিমা (৫২), আসমা খাতুন (৩৫), সুফিয়া (৪১), আনোয়ারা বেগম (৪৬), ইয়াসমিন আক্তার (৪১), সাদিয়া (৪৫), ফাতেমা বেগম (৫১), উম্মে আতিয়া (৪৬), রুমা আক্তার (৩২), রাজিয়া আক্তার (৪২), রাহিমা খাতুনন (৩০)।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল, জামায়াতের নারীকর্মীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাসায় গোপন বৈঠক করছিল। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাজমহল রোডের ১১/৭ নং বাসার দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

‘যখন আমরা ওই বাসায় যাই তখন তারা ভেতর থেকে দরজা আটকে দেয়। অনেকবার দরজা খুলতে অনুরোধ জানালে সাড়া না পেয়ে একপর্যায়ে আমরা দরজা ভাঙতে চাইলে পরে দরজা খুলে দেয়। পরে সেখান থেকে জামায়াতের ওই ২৮ নারী সদস্যকে আটক করা হয়। ’

তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ‍জানান, বাসাটি থেকে যুদ্ধাপরাধী নিজামীর লেখা ও মওদুদীবাদের বিভিন্ন বই ও সাংগঠনিক বিভিন্ন নথি উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেক কাগজ ছিঁড়ে টয়লেটে ফেলে দেয় তারা, যেগুলো উদ্ধার করা যায়নি।

আটকরা এখনো নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা সবাই উচ্চশিক্ষিত। এদের মধ্যে ডাক্তার ও শিক্ষকও রয়েছেন। সমাজের অনেক উচ্চশিক্ষিত লোকদের সহধর্মিনী রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তারা তাদের পরিচয় গোপনের চেষ্টা করছে।

‘এদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর স্ত্রী রয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি’।

তিনি আরও বলেন, তাদের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের কাছে তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ডিসি বলেন, তাদের কাছ থেকে যেসব বই উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো উগ্রবাদী বই হিসেবে পরিচিত। তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিলো। তাদের সঙ্গে জঙ্গিবাদের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৭
পিএম/জেডএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।