ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে মাইনুলের গ্রামে আনন্দের বন্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭
প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে মাইনুলের গ্রামে আনন্দের বন্যা প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে মাইনুলের গ্রামে আনন্দের বন্যা-ছবি: বাংলানিউজ

বরগুনা: প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া স্কুলভবন পেয়ে বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে আনন্দের বন্যা বইছে। স্থানীয় ৩৪ নম্বর জলিশাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম তার পুরস্কারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্কুলভবন (কাম-সাইক্লোন শেল্টার) নিয়ে এসেছে। তাই ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে এ আনন্দ।

২৯ জানুয়ারি (রোববার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তৃতায় জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করায় শিক্ষার্থী মাইনুলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় মাইনুল তার স্কুলে একটি দ্বিতল ভবনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দেন।

মাইনুলের আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আগামী বর্ষার আগেই একটি স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জলিশাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষক এবং ২৩০ শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার হয়ে আসছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে মাইনুলের গ্রামে আনন্দের বন্যা-ছবি: বাংলানিউজপ্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া ওই চিঠিতে মাইনুল উল্লেখ করেন, আমার বিদ্যালয়টি বেড়িবাঁধের বাইরে ব্যারের ডোন নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় প্রতি জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হয়। যার ফলে আমাদের দৈনন্দিন লেখাপড়া ও খেলাধুলা করতে কষ্ট হয়। আপনার কাছে আমার বিনীত প্রার্থনা, যাতে আমরা অতিদ্রুত একটি দ্বিতল ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার পেয়ে উন্নত পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারি। তার বিহীত বিধানে মর্জি হন।

এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সদয় অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন বলে তার কার্যালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া এক চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে বেতাগী উপজেলার ৩৪ নম্বর জলিশাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি দ্বিতল স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জরুরি ভিত্তিতে দ্বিতল ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন।
 
মন্ত্রী আরও জানান, ওই স্কুলের ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই স্কুলে ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে।
 
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, এ খবরে দলমত নির্বিশেষে সবাই খুশির জোয়ারে ভাসছে।

মাইনুল বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামানের ছেলে। মাইনুলের মা মোসা. নুরুন্নাহার স্কুল ৩৪ নম্বর জলিশাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

** প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে স্কুলভবন পেলো মাইনুল

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৭
আরবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।