ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন’র ১৬ সুপারিশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭
‘বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন’র ১৬ সুপারিশ বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন’র সংবাদ সম্মেলন। ছবি: রানা

ঢাকা: নদী রক্ষায় সরকারের কাছে ১৬ সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন।

শুক্রবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নদ-নদী রক্ষায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি উত্থাপন করা হয়। আলোচনায় অংশ নেওয়া বক্তারা দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর ১৩০০ নদ-নদী থেকে এখন রয়েছে ৭শ’ টি নদ-নদী । এর মধ্যেও প্রবাহমান নদীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তাই ঢাকার আশপাশ এলাকার মাত্রাতিরিক্ত দূষণরোধে জরুরি ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। পাশাপাশি তা ১-৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা জরুরি বলে জানান তারা।

অনুষ্ঠানে সুপারিশগুলো তুলে ধরেন সংগঠনের সন্বয়কারী ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আতাহারুল ইসলাম, প্রকৌশলী ম.ইনামুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন প্রমুখ।

সংগঠনটির স্বল্প মেয়াদি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-কৃত্রিম লেক, সমুদ্র সৈকতে ইঞ্জিন চালিত নৌকার পোড়া মবিল, তৈল, গৃহবর্জ্য, শহর, হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাটের ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিক বোতল, পলিথিন ইত্যাদি ফেলা বন্ধকল্পে আইনগত পদক্ষেপ এবং জনসচেতনতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

নদী সীমানা রক্ষায় স্থায়ী সার্ভে কমিটি গঠন করে ৩ মাস অন্তর নদীর পাড় সরেজমিনে পরিদর্শন-পূর্বক নৌ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পরিবেশবাদী সংগঠনের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া এবং অবৈধ দখল থেকে নদী রক্ষায় দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ ৫টি সুপারিশ।

মধ্য মেয়াদি ৫টি সুপারিশের মধ্যে সুপেয় পানির জলাধার সৃষ্টির জন্য ভরাট ও অর্ধভরাটকৃত মজা পুকুর এবং দীঘিগুলো খনন, পুনঃখননের আওতায় আনা, নদীবান্ধব অর্থনীতি ও যোগাযোগে ব্যবস্থা চালুকল্পে নদী বন্দরগুলো পুর্নগঠন ও সংস্কার করা ইত্যাদি।

দীর্ঘ মেয়াদি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে শিল্পবর্জ্যের দূষণ থেকে নদী রক্ষায় শিল্পকারখানা ২৪ ঘণ্টা ইটিপি চালুর ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন হাওড়-বাওড় ও বিলে পতিত নদী-নালাগুলোর উৎস মুখের বাঁধ অপসারণ করে নিম্নভূমিতে পানি প্রবাহ সচল রাখার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৭

এমএফআই/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।