বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের(বিআরটিসি) এ বাস ঢাকা ও গাজীপুর ডিপোতে পড়ে আছে। বাস ও ট্রাকগুলোর চেসিস ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
বিআরটিসি সূত্র জানায়, ভারত, চায়না ও কোরিয়া থেকে কেনা সিএনজি চালিত বাসের খুচরা যন্ত্রাংশ স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায় তা আবার টেকসই হয় না। ফলে মেরামত লাভজনক হয় না। শুধু অর্থের অপচয় হয়। একই অবস্থা চাইনিজ দাইয়্যু সিএনজি বাসের। যে কারণে ১৯১টি বাস এতদিন মেরামত করা হয়নি।
চায়না এক্সিম ব্যাংকের ঋণে ২০০৯-২০১০ সালে ভারত, কোরিয়া ও চায়না থেকে পরিবহনগুলো কেনা হয়। একই সময়ে চায়না থেকে আনা হয় সিএনজি চালিত বাস। এ বাসগুলোর অভিজ্ঞতা বর্তমানে মোটেও সুখকর নয়। প্রতিটি দ্বিতল বাস ৭৮ লাখ টাকা ও সিঙ্গেল ডেকার এসি বাসের দাম পড়ে ৭০ লাখ টাকা।
বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ৫০টি ভলভোসহ ২৪১টি বাস বিআরটিসি’র ডিপোতে পড়ে আছে। আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। ১৪ কোটি টাকা খরচ করে ১৯১টি বাস মেরামত করা সম্ভব। বাসগুলো মেরামত করলে অনায়াসে ৭ থেকে ৮ বছর জনগণের সেবা দেওয়া যাবে।
এ জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ এনে বাসগুলো মেরামত করবো। ১৯১টি বাস ছাড়াও আমরা আরও ৫০টি ভলভো মেরামত করবো। প্রকল্পের আওতায় দুই ধরনের বাস মেরামত করতে ৫০ কোটি টাকা লাগবে। এর মধ্যে ৫০টি ভলভো মেরামতে ৩৬ কোটি এবং ১৯১টি সাধারণ বাস মেরামতে যাবে ১৪ কোটি টাকা। ’
ঢাকা মহানগরী ও সারাদেশের সমন্বিত ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণপরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা থাকলে এসব পরিবহন বিকল হয়ে পড়ে থাকায় লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না। চলতি বছরে উন্নয়ন খাতে ৮ হাজার ১৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ আছে। নতুনভাবে অনুমোদনের জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৭০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রয়েছে। এই থোক বরাদ্দ থেকে বাসগুলো মেরামত করা জরুরি বলে মনে করে বিআরটিসি।
বিআরটিসি’র ঊর্ধ্বতন এক কর্তকর্তা বলেন, ৫০টি ভলভো ৩৬ কোটি টাকায় মেরামতে অনেকে প্রশ্ন তুলেছে। তবে আমরা ১৯১টি বাস দ্রুত সময়ে মেরামত করবো। ভারত, চীন ও কোরিয়া থেকে যন্ত্রাংশ এনে বাসগুলো মেরামত করবো। দেশে এসব বাসেরও কোনো যন্ত্রাংশ নেই। তবে আমরা আশা করছি যেসব দেশে বাসগুলো কিনেছে সেই সব দেশে যন্ত্রাংশ পাওয়া যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৭
এমআইএস/পিসি