রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার শালমারা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে মিতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি শালমারা গ্রামের মোস্তাক ফকিরের স্ত্রী ও একই উপজেলার পাইককান্দি গ্রামের শামসুল শেখের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, মাত্র দুই মাস আগে মোস্তাক ফকিরের সঙ্গে মিতার বিয়ে হয়। বড় ভাই বিদেশে থাকায় মোস্তাক আপন ভাবীর সঙ্গে পরকীয়ার জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি মিতা টের পেলে তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়। রোববার সকালে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মিতার মরদেহ উদ্ধার করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্থানীয়দের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে মিতা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
তবে নিহতের চাচা বজলুর রহমান বলেন, রোববার সকাল ৭টার দিকেও মিতার সঙ্গে তাদের পরিবার লোকজনের কথা হয়েছে। তখন মিতা স্বাভাবিক ছিল। সকাল ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে তার আত্মহত্যার খবর পাই। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে মিতার পরিবারের অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে তার স্বামী মোস্তাক ফকির বলেন, মিতাকে তারা হত্যা করেননি। সে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, দুপুর দেড়টার দিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে মিতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭
আরএ