রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির কারণে পুরো সিটি করপোরেশনে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
এতে নগর ভবনভিত্তিক সব ধরনের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হন নগরবাসী।
আন্দোলনরত বরিশাল সিটি করপোরেশনের যানবাহন শাখার পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম মানিক বাংলানিউজকে জানান, বিগত সময়ের চেয়ে করপোরেশনের আয়ের পরিমাণ বেড়েছে কয়েকগুণ, যা আদায় করতে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত কর্মচারীরা কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করেছেন। এরপরও বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তিনি বলেন, পাঁচ মাস ধরে আমাদের প্রায় ৫শ জন নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বকেয়া পড়ে রয়েছে। নাগরিক সেবার মাধ্যমে যে মুনাফা আদায় হচ্ছে তা দিয়েই আমাদের বেতন পরিশোধ করার কথা থাকলেও তা ঠিকাদারদের বিল হিসেবে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে প্রতি মাসে বেতন থেকে একটি অংশবিশেষ কেটে রাখা হচ্ছে। কিন্তু গত ৩৫ মাস ধরে এই টাকা নিলেও খোলা হয়নি কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ড।
তাই বকেয়া পাঁচ মাসের বেতন এবং প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা জমা দেওয়ার দাবি নিয়ে সর্বস্তরের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন।
কনজারভেটিভ অফিসার দীপক লাল মৃধা জানান, নিয়মিতর পাশাপাশি অনিয়মিত ১৩শ কর্মচারীরা গত তিন মাস ধরে বেতন না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এদিকে, সকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাজিরা খাতায় সই করলেও কেউ কর্মস্থলে যোগ দেননি। তারা কর্মবিরতির পাশাপাশি নগর ভবনের সামনে তাবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি এবং দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭
এমএস/এনটি/এসএনএস