ঢাকা, বুধবার, ০ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সুরঞ্জিতের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭
সুরঞ্জিতের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্মৃতিচারণ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ১৯৭৯ সালের গণআন্দোলনের দিনগুলোতে তাকে আমি পেয়েছি। তিনি ১৯৭০ সালে ২৭৮টিতে আসন জয় লাভ করেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তখন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) থেকে নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু তাকে ভীষণ স্নেহ করতেন।

রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওপর আনিত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার পর গণপরিষদের অন্যতম সদস্য হিসেবে স্বাধীনতা  যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।


 
তিনি বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যখন পার্লামেন্টে বক্তৃতা করতেন তখন বঙ্গবন্ধু তার বক্তৃতা শুনতেন। যখন তিনি বক্তৃতা দিতেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন আরও সময় দাও।
 
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত গণতান্ত্রিক এবং অস্প্রদায়িক রাজনীতি করতেন। তিনি উচ্চমানের নেতা ছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে, সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে তার নাম লেখা থাকবে বলেন তোফায়েল আহমেদ।
 
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ওপর সামরিক সরকারের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামরিক শাসকের সৈন্যরা যখন তার বাবাকে গ্রেফতার করেন, তখন তার একমাত্র ছেলে সৌমেন সহ্য করতে পারেননি। সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।

এ সময় আবেগপ্লুত হয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, সুরঞ্জিত দা সবসময় আমাকে তোফায়েল বলে ডাকতেন। তিনি সেদিন তার পুত্রের আকুতি ধরে রাখতে পারেননি। তারপর থেকে সুরঞ্জিত দাদা অনেক কষ্ট নিয়ে বেচে ছিলেন। আজ তাকে সবচেয়ে বেশি মিস করবে তার দুই নাতি।
 
** সংসদ ক্রিকেট টিমের একটি উইকেটের পতন
** বিরোধী দল হিসেবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একাই একশো ছিলেন
** সংসদে শেষ বক্তৃতায় যা বলেছিলেন সুরঞ্জিত

বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭
এসএম/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।