রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢামেক হাসপাতালের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
কর্মস্থলে নিরাপদে চিকিৎসা দেওয়ার স্বার্থে হাসপাতালে দায়িত্বরত বিসিএস ক্যাডারদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া, হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে ইমারজেন্সি রেড এলার্ম সিস্টেম চালু, হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালনে পুলিশ ও র্যাবের সমন্বয়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠনসহ বেশ কিছু দাবি করেন ডা. ফারাহানা।
দাবি বাস্তবায়নে তিনি প্রধানমন্ত্রীরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই সঙ্গে প্রকৃত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
দাবি বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা অনিদিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে থাকবে বলে জানান তিনি।
ফারহানা আফরিন বলেন, যে রোগীটা সকালে রিসিভ করলাম। তার জটিল অপারেশন করলাম। কিন্তু তাদের স্বজনদের কাছেই আহত হলাম। রোগীর স্বজনরা আমাদের বলেছে আমরা ওৎ পেতে থাকলাম তোদের খুঁজে খুন করব।
চিকিৎসক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহাকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তারও করেছে।
হাসপাতালের পরিচালক বলেন, নিষেধ করা সত্ত্বেও কিছু উশৃঙ্খল দর্শনাথী জোরপূর্বক ওয়ার্ডে অবস্থান করে। তারা নারী চিকিৎসককে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় এবং আহত করে।
প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান, উপ-পরিচালক ডা. খাজা আবদুল গফুর ও নাক-কান-গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এজেএস/এমইউএম/আরবি