ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বিসিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭
বিসিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

বরিশাল: মেয়র ও কাউন্সিলরদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বরিশা-ল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
 
এর আগে, বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বকেয়া বেতন এবং প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে আদায় করা টাকা জমা দেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট করে আসছিল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এতে নগর ভবন ভিত্তিক সব ধরনের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন নগরবাসী।

আন্দোলনরত বরিশাল সিটি করপোরেশনের যানবাহন শাখার পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম মানিক বাংলানিউজকে জানান, বিগত সময়ের চেয়ে করপোরেশনের আয় বেড়েছে কয়েকগুণ, যা আদায় করতে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত কর্মচারীরা কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করছেন। কিন্তু তারপরও বেতন বঞ্চিত হচ্ছেন এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

তিনি বলেন, পাঁচ মাস ধরে আমাদের প্রায় ৫০০ জন নিয়মিত ও তিন মাস ধরে অনিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বকেয়া পড়ে আছে। নাগরিক সেবার মাধ্যমে যে মুনাফা আদায় হচ্ছে তা দিয়ে আমাদের বেতন পরিশোধ করার কথা থাকলেও সেই টাকা ঠিকাদারদের বিল হিসেবে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন নগরবাসী। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে সকালে সিটি মেয়রের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর দুপুর ১২টায় পর্যায়ক্রমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আমাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।

বিসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের নামে প্রতি মাসে বেতন থেকে একটি অংশ বিশেষ কেটে রাখা হচ্ছে। কিন্তু গত ৩৫ মাস ধরে এই টাকা নিলেও খোলা হয়নি কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ড। আর তাই বকেয়া পাঁচ মাসের বেতন এবং প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা জমা দেওয়ার দাবি নিয়ে সর্বস্তরের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন। এরই অংশ হিসেবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন সোমবার ১২টার দিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগে বিষয়টি নিয়ে রোববার মেয়রের সঙ্গে আমাদের দুই দফা সভা হয়। পরে দুপুর ১২টায় অবস্থান ধর্মঘট চলাকালীন মেয়রের প্রতিনিধি হিসেবে ১ নং প্যানেল মেয়র একেএম শহীদুল্লাহ, সাবেক মেয়র ও কাউন্সিলর আলতাফ মাহমুদ, কাউন্সিলর এসএম জাকির হোসেন, হাবিবুর রহমান টিপু, গাজী আক্তারুজ্জামান হিরু, ইউনুস মিয়া এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা পর্যায়ক্রমে আমাদের দাবি মেনে নেবেন বলে আশ্বাস দেন।
 
এদিকে, মেয়র আহসান হাবিব কামালের সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চলতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে এক মাসের বেতন ও পাঁচ পিপিএম পরিশোধ, পরের মাসে দুই মাসের বেতন ও পাঁচ পিপিএম এবং এর পরের মাসে দুই মাসের বেতন ও পাঁচ পিপিএম দিয়ে বকেয়া বেতন পরিশোধ করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমএস/এনটি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।