ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭
বরিশালে ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশাল: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন ও উপ পরিদর্শক (এসআই) মামুনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল নগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিঅ্যান্ডবি রোডের আবু সাঈদ খলিফার স্ত্রী নিলুফা বেগম বাদী হয়ে বরিশালের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।

বিচারক মো. আনোয়ারুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকার লালবাগের বাসিন্দা ও চিকিৎসক আনোয়ার উল্লাহ, তার স্ত্রী রহিমা বেগম, একই এলাকার জামাল উদ্দিন ইউসুফ ও নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডের মুকিব হোসেন।

অপরদিকে, এ মামলায় ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে যাদের নাম রয়েছে- তাদের মধ্যে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুর রউফ খান ও কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত মু. আতাউর রহমান এবং এসআই ওয়াহাব।

অভিযোগপত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও দুর্নীতি দমন আইনের অপরাধসমূহের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী নিলুফা বেগমের সাগরদি মৌজায় সাত শতাংশ জমি বন্টন নিয়ে ঢাকার লালবাগের বাসিন্দা ও চিকিৎসক আনোয়ার উল্লাহ ও তার স্ত্রী রহিমা বেগমের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে পাল্টাপাল্টি মামলা ও জিডি (সাধারণ ডায়েরি) রয়েছে। বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে নিলুফা বেগমের দোকান ও হোটেল ছিল।

এই জিডির প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বাদী নিলুফা বেগমকে। বাদী কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে মামলার এক নম্বর আসামি ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন ১০ লাখ টাকা নিয়ে তিন ও চার নম্বর আসামি ডা. আনোয়ার উল্লাহ ও তার স্ত্রী রহিমা বেগমকে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বাদীকে বলেন।

মামলায় উল্লেখ রয়েছে, টাকা দেওয়ার নামে ওসি বাদীর সঙ্গে যে খারাপ ব্যবহার করেন তার রেকর্ডও রয়েছে। পরে তিনি এ বিষয়ে মামলার তিন নম্বর সাক্ষী উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুর রউফ খানের কার্যালয়েও যান। কিন্তু ২৬ জানুয়ারি মামলার এক ও দুই নম্বর আসামি ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন ও এসআই মামুনের উপস্থিতিতে অন্য আসামিরা ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে বাদীর দোকানপাট ভাঙচুর করে এবং বাদী ও তার মেয়ে নুপুর বেগমকে মারধর করে। পরে এক ও দুই নম্বর আসামি চার নম্বর আসামির মাধ্যমে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যে মামলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাদীর মেয়ে নুপুর বেগমকে গ্রেফতার দেখানো হয় এবং বাদীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হয়রানি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমএস/এনটি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।