সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত সংসদ সদস্য জাহান আরা বেগম সুরমার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া রিজার্ভের সব অর্থ উদ্ধারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে জানান, রিজার্ভের অবশিষ্ট অর্থ উদ্ধার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ফেরতের লক্ষ্যে ফিলিপাইনে আইনি প্রক্রিয়া চলামান রয়েছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে আছে, বিষয়টি সঠিক নয়। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতির প্রথম ষান্মাসিক অন্তে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ (ঋণ) এর গতিধারা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে রয়েছে। বিগত ডিসেম্বর ২০০৯ সালে ব্যাংকিং খাতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। যা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে প্রায় ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা দাড়িয়েছে। অর্থাৎ ৭ বছরে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৭৮ শতাংশ।
ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সব টাকা বিনিয়োগ (ঋণ) হিসাবে বিতরণ সম্ভব নয়। দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদন, আমানতকারীদের নগদ অর্থের চাহিদা পূরণ এবং লাভজনক নতুন বিনিয়োগের জন্য কিছু নগদ অর্থ সব সময় ব্যাংকের হাতে এবং আইনগত বাধ্যবাধকতা পরিপালনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে নগদ জমা হিসাবে গচ্ছিত থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে গচ্ছিত নগদ অর্থ থেকে ব্যাংক কোনো সুদ প্রাপ্ত হয় না বিধায় আবশ্যকীয় পরিমাণ নগদ জমার অতিরিক্ত গচ্ছিত অর্থকে অলস অর্থ হিসাবে অভিহিত করা হয়। বিগত ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে রক্ষিতব্য নগদ জমার অতিরিক্ত অর্থেও পরিমাণ ছিল প্রায় ৬ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে বিগত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে অতিরিক্ত অর্থেও পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এসএম/পিসি