সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামির জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ কনস্টেবল মাহফুজুল হক গফরগাঁও উপজেলার ধোপাঘাট মলাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে একই উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের ভাতুরী গ্রামের বাসিন্দা সবুজ মিয়ার মেয়ে শাহানাজ পারভীনকে বিয়ে করেন পুলিশ কনস্টেবল মাহফুজুল হক।
বিয়ের পর কিছুদিন ভালো চললেও ২০১২ ও ২০১৩ সালে মাহফুজুল শ্বশুর বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা ধার নেন। ২০১৬ সালের ১০ জুন তিনি আরও পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ নিয়ে দুই পরিবারে বিরোধ দেখা দিলে স্ত্রী শাহানাজকে যৌতুকের টাকা নিতে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মাহফুজুল।
মামলার বাদী শাহানাজ পারভীন বাংলানিউজকে বলেন, গত সাত বছরের সংসার জীবনে প্রায় সময়ই মাহফুজুল তাকে অমানুষিক নির্যাতন করতেন।
শাহানাজের বাবা সবুজ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় সময়ই মাহফুজুল আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো। স্ত্রী নির্যাতনের ঘটনায় মাহফুজুলের বিরুদ্ধে শেরপুরে কর্মরত থাকা অবস্থায় তৎকালীন এসপি সাহেবের কাছে নালিশ করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর শাহানাজ ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাত নম্বর আমলী আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে, বিজ্ঞ বিচারক জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান সবুজ মিয়া।
বাংলাদেশ সময় ১৯৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭
এমএএএম/জিপি/এসএনএস