সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিলটি উত্থাপন করেন। পরে বিলটি অধিকতর যাচাই-বাছাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সংসদীয় কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এসময় সংসদ পরিচালনায় স্পিকারের চেয়ারে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
উত্থাপিত বিলে মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ ও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যাক্ট ২০১৬-এর অধীন সম্পন্ন কার্যক্রমকে প্রস্তাবিত আইনের অধীনে রহিতকরণ ও সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে সভাপতি করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে ৮ সদস্যের পরিচালনা পরিষদ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে- সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আনা, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস, সড়ক নিরাপত্তায় গণসচেতনতা সৃষ্টি, মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিট, ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন ইত্যাদি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত ও উন্নত সেবার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
যানজট নিরসনে মোটরযান ও গণপরিবহনের সংখ্যা নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আরও উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে মোটরযানের কর ও ফি নির্ধারণ করা। চালকের লাইসেন্স যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এসএম/পিসি