ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘ঠ্যাঙ্গার চরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিপজ্জনক’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭
‘ঠ্যাঙ্গার চরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিপজ্জনক’

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ঠ্যাঙ্গার চরে প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের ফরেন পলিসির জন্য একটি বিপজ্জনক উদাহরণ সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সংসদ সদস্য মঈনউদ্দিন খান বাদল।

সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বাদল বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের ইস্যুতে অনেক ডিপ্লোম্যাটিক স্টেপ নিচ্ছি।

কিন্তু সব ডিপ্লোম্যাটিক স্টেপের পরিশেষে যদি দেখা যায়, রোহিঙ্গারা আমাদের কাঁধের উপরেই সওয়ার হয়ে গেল, তাহলে এই ডিপ্লোম্যাসির কী মানে দাঁড়ালো!
 
তিনি বলেন, মায়ানমারের একটা ইভিল (খারাপ) উদ্দেশ্য আছে। তারা রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীকে সমূলে উৎখাত করে বাইরে পাঠিয়ে দিতে চায়। রোহিঙ্গাদের মায়ানমার স্বীকারও করছে না। শুধু অন্যায়ভাবে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

উদ্বাস্তু সমস্যা নিরসনে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার উদাহরণ দিয়ে জাসদ নেতা বাদল  আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী বিষয়টিকে পাকাপোক্ত না করে উল্টো রোহিঙ্গাদের আমাদের ঠ্যাঙ্গার চরে আনছি। ঠ্যাঙ্গার চরে ওদের বসতি দিলে, রোহিঙ্গারা একবার ঢুকলে মায়ানমার প্রশ্ন তুলবে, আপনাদের লোক আপনারা নিয়ে গেছেন। আপনারা বসতি করে দিয়েছেন। আমরা এটার কিছু জানি না। আমরা বলছি এরা (রোহিঙ্গা) মায়ানমারের লোক কিন্তু আমরা নিজেদের জায়গায় বসতি দিয়ে দিচ্ছি। আমি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে না। আমি তাদের মানবিকতার পক্ষে। কিন্তু সাথে সাথে এটাও বলতে চাই, ১২’শ লোক নিতে আমেরিকার মতো দেশ অস্বীকার করেছে। আর আপনারা ৬৫ হাজারের বেশি লোককে ঠ্যাঙ্গার চরে নিয়ে আসছেন। তাহলে যে আর্গুমেন্টের উপর দাঁড়িয়ে এতদিন বিতর্ক করলেন সেই আর্গুমেন্ট কোথায় দাঁড়ালো!

** 'ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট, ১১২টি একাউন্ট বন্ধ’

** ‘বিনিয়োগ কমে গেছে এমন তথ্য সব ভুল’
** ‘রিজার্ভ চুরির বাকি অর্থ ফেরত আনার আইনি প্রক্রিয়া চলমান’
** ‘পাকিস্তান থেকে ক্ষতিপূরণ ফেরত আনতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’
** গাড়ির সংখ্যা নির্ধারণে সংসদে বিল উত্থাপন

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।