২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো শিশুদের জন্য বাজেটে পৃথক বরাদ্দ রাখা হয় ৫০ কোটি টাকা। এরপর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয় একশ’ কোটি টাকা।
শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা এনজিও ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিশুদের জন্য এই পৃথক বরাদ্দ দেন।
বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হলেও সঠিক কর্মপরিকল্পনা না থাকায় সেই টাকা খরচ করতে পারেনি কোনো মন্ত্রণালয়- এমন দাবি খোদ সংসদ সদস্যদের।
বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় আইডিডি সম্মেলন কক্ষে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের বাজেট বরাদ্দ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় শিশু বাজেট ব্যয় না হওয়ার এ অভিযোগ তুলে অসন্তোষ ব্যক্ত করেন সংসদ সদস্যরা।
সংসদীয় ককাসের সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শামসুল আলম দুদু, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, কাজী রোজী, উম্মে রাজিয়া কাজল, জেবুন্নেসা আফরোজ, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, লুৎফা তাহের, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, কামরুন্নাহার চৌধুরী এবং বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, সরকার শিশুদের কল্যাণে নানা সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে। চলতি অর্থবছরেও শিশুদের কল্যাণে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বরাদ্দকৃত বাজেট শিশুদের কল্যাণে সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কি-না, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়গুলোর মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অভিভাবকদের ছেড়ে যে সকল শিশু অন্যত্র কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে, তাদের নাম-ঠিকানা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে নিবন্ধনেরও তাগিদ দেন ডেপুটি স্পিকার।
সংরক্ষিত সংসদ সদস্য উম্মে রাজিয়া কাজল বলেন, ‘শিশুদের জন্য পৃথক বাজেট দাও দাও বলে এনজিওগুলো মাথা নষ্ট করে ফেলেছিল। যখন আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হল, তখন তার একটি টাকাও কেউ খরচ করতে পারল না। কোনো পরিকল্পনা নেই, মন্ত্রণালয়গুলোও কাজ করছে না। তাহলে বাজেটে বরাদ্দ দিয়ে কি লাভ হয়েছে? এক্ষেত্রে এনজিওগুলোও ভূমিকা রাখতে পারতো। তারা একটি কর্মপরিকল্পনা দিতে পারতো। সেটিও করতে পারেনি তারা’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসএম/এএসআর