বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নগরের রুপাতলী খান সড়ক এলাকার মৃত আবুল হাসেম মৃধার ছেলে মো. রিপন মৃধা।
আদালতের বিচারক মো. আলী হোসাইন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা ও বাদীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বাদী রিপন মৃধা ও মামলার ১ নম্বর সাক্ষী মো. আফজাল হোসেন, ২ নম্বর সাক্ষী মো. রিপন আকন জমি-জমার ব্যবসা করেন।
মামলার একমাত্র নামধারী আসামি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মহিউদ্দিন মামলার বাদী সাক্ষীদের মিথ্যা মামলা দেওয়াসহ এনকাউন্টারের হুমকি দিয়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু তারা টাকা দিতে অপারগতা জানান।
এর পর দুই দফায় এসআই তাদের বাসায় গিয়ে টাকা চেয়ে হুমকি দেন। কিন্তু তাতেও তারা রাজি না হলে ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর মামলার আসামি এসআই মহিউদ্দিন আফজাল হোসেনকে জোরপূর্বক থানায় নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে মিথ্যে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠান। পাশাপাশি ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর মো. রিপন আকনকেও থানায় নিয়ে নির্যাতন চালান।
পরে মামলার বাদী রিপন মৃধা ও দুই সাক্ষী মো. আফজাল এবং রিপন আকনকে ক্রসফায়ারের ঘটনা সাজিয়ে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়। এতে ভয় পেয়ে গেলে বাদী ও সাক্ষীদের ২৯ অক্টোবর আসামি এসআইয়ের কথামতো আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয়।
এসআইয়ের নির্যাতনে বাদীসহ সাক্ষীরা অসুস্থ হয়ে জেলখানার হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীনও ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
পরে দীর্ঘদিন হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে এ মামলা দায়ের করেন মো. রিপন মৃধা। যেখানে এসআই মহিউদ্দিন ছাড়াও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি রুপাতলি এলাকার ১৩ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
এমএস/আরএ