‘বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণ’ নামে এ প্রকল্পের আওতায় বিস্তারিত ডিজাইন, দরপত্র সহায়তা ও তদারকি কাজ করবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৪ কোটি ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সভাপতিত্বে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভা কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানানো হয়, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহায়তায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। বঙ্গবন্ধু ব্রিজের পাশে দেশের সবচেয়ে বড় এ রেল সেতু তৈরি হবে।
অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জাপানি এ কোম্পানিকে কাজ দেওয়ার প্রস্তাবে বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সম্মতি দিয়েছে। ওরিয়েন্টালের সঙ্গে আরও কাজ করবে জাপানের চোডাই (Chodai) কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের দুই কোম্পানি ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেড ও সাব কনসালটেন্ট এসিই কনসালটেন্টস লিমিটেড।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে একনেকের প্রাক্কলন অনুসারে এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৯৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। গত ৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় প্রকল্পটি পাস হয়। এ প্রকল্পে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেবে জাইকা, বাকি ২ হাজার ১০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে।
প্রকল্পটির আওতায় বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে ৩শ’ মিটার উজানে প্রায় ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার ডেডিকেটেড ডুয়েলগ্যাজ স্টিল ব্রিজ তৈরি হবে। এতে প্রায় তিন কিলোমিটার ভায়ডাক্ট নির্মাণের পাশাপাশি ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
আরএম/ওএইচ/পিসি