ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

গাজীপুরে ৪ ইটভাটা ভাঙলো পরিবেশ অধিদফতর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭
গাজীপুরে ৪ ইটভাটা ভাঙলো পরিবেশ অধিদফতর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জয়েরটেক ও বাইমাইল এলাকার ইটভাটা ভেঙে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত- ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জয়েরটেক ও বাইমাইল এলাকার চারটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন পরিবেশ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাদ্দেক মেহেদী ইমামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বাইমাইল এলাকায় অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করার দায়ে চারটি ইটভাটার আগুন ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দিয়ে নিভিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

ভেঙে দেওয়া‍ ইটভাটাগুলো হলো- জয়েরটেক এলাকায় ইসমাইল হোসেনের মালিকানাধীন মের্সাস ইসমাইল অ্যান্ড কোং ও একই এলাকার নাজিম উদ্দিনের মালিকানাধীন মের্সাস এমএইচবি ব্রিকস, বাইমাইল এলাকায় জিয়াউল আলমের মালিকানাধীন মের্সাস আলম ব্রাদার্স সিন্ডিকেড এবং ফজলু মিয়ার মালিকানাধীন ব্রিকলিংকাস ব্রিকস লিমিটেড।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জয়েরটেক ও বাইমাইল এলাকার ইটভাটা ভেঙে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত- ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সোনিয়া সুলতানা, পরিবেশ অধিদফতরের (সদর দপ্তর) সহকারী পরিচালক সালমান রহমান, গাজীপুরের পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শক মির্জা আসাদুল কিবরিয়া, অনিতা ঘোষ, উত্তম কুমার ও হিসাবরক্ষক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

এছাড়া সহযোগিতা করেছে গাজীপুর জেলা পুলিশ, জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিস ও এলজিইডিসহ এলাকাবাসী।

পরিবেশ অধিদফতরের গাজীপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক সোনিয়া সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, ওই সব ইটভাটাগুলো পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেই। ইটভাটাগুলো নিয়মনীতি না মেনে অবৈধভাবে পরিচালনা করা হচ্ছিলো।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় অবৈধভাবে অনেক ইটভাটা রয়েছে। উচ্চ আদালতে রিট করায় ওইসব ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

তবে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান উপ-পরিচালক সোনিয়া সুলতানা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭
আরএস/জিপি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।