উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবা ভাতার আওতায় মোট ছয় হাজার ৫২০ জন সুবিধাভোগী রয়েছেন। এরমধ্যে চার হাজার ৯৭ জন বয়স্ক, ৯৮৮ জন প্রতিবন্ধী ও এক হাজার ৪৩৫ জন বিধবা রয়েছেন।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের জুন মাসে ভাতার টাকা পায় এসব সুবিধাভোগী মানুষ। এজন্য সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা।
সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড়া হলেও তা বিতরণ করছে না সমাজসেবা অফিস। জেলার অন্যান্য উপজেলায় এসব ভাতার টাকা বিতরণ করা হলেও নানা টালবাহানা করছে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সঠিক সময়ে ভাতার টাকা না পেয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছেন না অনেকে। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন অসহায় মানুষগুলো।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিসে কোনো কর্মকর্তা নাই। কথা হয় ইউনিয়ন সমাজকর্মী আব্দুল্লাহ হেল কাফির সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, অফিসে কর্মকর্তার পদ খালি থাকায় সিনিয়র হিসেবে নিজেই দায়িত্ব পালন করছেন।
ভাতার টাকা বিতরণ না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসের ১৭ তারিখে বরাদ্দকৃত অর্থ পাওয়া গেছে। এছাড়া অনলাইনে সুবিধাভোগীদের ডাটাঅ্যান্ট্রির কাজ করতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। দ্রুত সময়ে বকেয়া ভাতার টাকা বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
রৌমারী উপজেলা সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক নাজমুল হক বাংলানিউজকে জানান, ভাতার বরাদ্দকৃত প্রতিমাসের অর্থ প্রতিমাসে ব্যাংকে এসে জমা হয়। সমাজসেবা অফিস থেকে তালিকা না পাঠানোয়, সঠিক সময়ে টাকাগুলো সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
এনটি/এসএইচ