এ লক্ষ্যে সম্প্রতি দুদক এফবিআই এর কাছে সহায়তা চেয়ে একটি চিঠি পাঠালে দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের কাছে এফবিআই ইতিবাচক সাড়া দিয়ে ফিরতি চিঠি পাঠিয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, এফবিআই থেকে চিঠি পাওয়ার পর ইতোমধ্যে সমঝোতা স্মারকের খসড়া তৈরির কাজ শুরু করেছে দুদক।
শুধু তাই নয়, সরকার সেটাকে অনুমতি দিলে এফবিআই ও দুদক উভয় পক্ষে সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে। এফবিআই দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষা, প্রচার প্রকাশনা, প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা,দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদককে সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
দুদকের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সুশাসনের জন্য প্রয়োজন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উত্তম চর্চাসমূহ দেশে ছড়িয়ে দেওয়া। এ লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন তথা সুশাসন নিশ্চতকল্পে কাজ করছে তাদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে দুদক ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, হংকং, ভুটান, রাশিয়া, অস্ট্রিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীন ও মালয়েশিয়াসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে চিঠি পাঠিয়েছে।
শুধু তাই নয়, দুদকের একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও ভুটানে সফর করেছে এবং তাদের দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছে। তারাও দুদকের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে।
এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়তা চেয়ে এফবিআই’কে চিঠি পাঠালে সেটা এফবিআই আবার তার বরাবরে ফিরতি চিঠি পাঠিয়েছে। এছাড়া দুদকের পক্ষ থেকে এফবিআই’কে একটি ড্রাফট পাঠানো হয়েছে। সেটা এফবিআই পর্যালোচনা করছে। অন্যদিকে চিঠিতে তাদের অ্যাম্বাসিতে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে। দুদকের পক্ষ থেকে তাদের অ্যাম্বাসিতে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এফবিআই কিভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করে সফলতা পেয়েছে তা জানতে এবং দু’দেশের মধ্যে দুর্নীতি দমন বিষয়ক তথ্য বিনিময় করতে এ চুক্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের দেশের কমিশন সরকারি সেবাখাতের দুর্নীতি প্রতিরোধে কিভাবে কাজ করছে এবং দুর্নীতি দমনে কি কি উপায় অবলম্বন করছে সেটা তাদের কাছ থেকে রপ্ত করা। আর এটা হলে অবশ্যই দুর্নীতি প্রতিরোধে আমরা আরও বেশি শক্তিশালী হবো।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ(টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এফবিআই দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। আর তাদের সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলে অবশ্যই আমাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে। কেননা দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে তাদের সফলতা রয়েছে।
এছাড়া সমঝোতা স্বাক্ষর হলে তারা কিভাবে বিভিন্ন অনুসন্ধান পরিচালনা করে, দুর্নীতিবাজদের ধরতে কি কৌশল অবলম্বন করে, সেটা আমাদের দুদক কর্মকর্তাদের রপ্ত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসজে/পিসি