হাতের ইশারায় অবৈধভাবে নগরীর ভেতর দিয়ে ছুটে চলা ট্রাকটিকে গতিরোধ করা হলো। সামনা সামনি গিয়ে দাঁড়ালেন ট্রাফিক পুলিশের দু’সদস্য।
দিনের বেলায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ট্রাক চলাচল নিষেধ, এ কথাই হয়তো বা স্মরণ করিয়ে দেয়া হলো ওই চালককে। হয়রানি এড়াতে দর কষাকষিতে জড়ালেন চালক নিজেই।
অত:পর চোখের পলকেই তিনি হাত মিলিয়ে নিলেন দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে। ব্যাস, হাতবদল সন্তোষজনক হওয়ায় আইন ভেঙেও ছাড়া পেলেন ওই ট্রাক চালক।
খানিকটা দূর থেকে বাংলানিউজের ক্যামেরায় এ দৃশ্য ধরা পড়ার পর পরই চোখে চোখ পড়লো চালকের। মাথার ইশারায় এক আঙুল উঁচিয়ে মৃদু হেসে বললেন, ‘হাদিয়া দিয়েছি। সব ঠিক হয়ে গেছে। ’ এরপর ছুট দিলেন নিজের গন্তব্যে।
বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড় সংলগ্ন হাজী কাশেম আলী কলেজের সামনের দৃশ্যপট ছিল এমনই।
প্রকাশ্যেই ‘হাদিয়া’ নেয়ার এমন দৃশ্য ধারণের পর পরই এদিক-সেদিক চলে ছুটতে থাকলেন ট্রাফিক পুলিশের এ দু’সদস্য।
ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে মুখে মাস্ক পড়া থাকায় এবং তাদের পোশাকের গায়ে নেমপ্লেট না থাকায় তাদের নাম জানাও সম্ভব হলো না। তবে স্থানীয়দের অনেকেই বলতে থাকলেন, ট্রাফিক পুলিশের ‘হাদিয়া’ স্টাইল এমনই।
আইন অমান্য করে
বেশ কয়েকজন ট্রাক চালক বাংলানিউজকে জানান, ‘হাদিয়া’র রেট একেক রকম। যত দূরের ট্রাক হাদিয়ার রেট ততো বেশি।
সদর উপজেলার ভেতরের ট্রাক মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বেলায় রেট কম। এ ক্ষেত্রে দরকষাকষি করে তারা ১’শ থেকে ২’শ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকেন।
শহরতলী আকুয়া এলাকার ট্রাক চালক আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, বৈধ বা অবৈধ যাই হোক সিগন্যাল দিলেই ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিতেই হবে।
ফলে সিগন্যাল পেলেই চালকরা টাকা ভাঁজ করে রাখেন। এরপর হাত মিলিয়ে ‘হাদিয়া’ ধরিয়ে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এমএএএম/বিএস