বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উত্তরায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদর দফতরে ইউনিটের কল্যাণ সভায় উত্থাপিত দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী এ আশ্বাস দেন।
মন্ত্রী বলেন, তাদের যৌক্তিক, এপিবিএন পুলিশের একটি সু-শৃঙ্খল ইউনিট।
একইসঙ্গে পুলিশের এই বিশেষায়িত ইউনিট এসপিবিএন’র সদস্যরা কল্যাণ সভায় যেসব দাবি তুলে ধরেন, সেগুলো একটি প্রজেক্ট আকারে তৈরি করে তা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার জন্য ইউনিটের প্রধানকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, এর আগে বিক্ষিপ্তভাবে আপনারা যেসব সমস্যার কথা জানিয়েছেন ও আজ যে দাবিগুলো তুলে ধরেছেন সবগুলো একটি প্রজেক্ট প্রোপজাল তৈরি করে জমা দেবেন।
যেগুলো মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমাধান করা যাবে সেগুলো মন্ত্রণালয় করবে। আর মন্ত্রণালয় যেগুলো পারে না, সে দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে।
কল্যাণ সভায় আর্মড পুলিশের বিভিন্ন দাবির মধ্যে রয়েছে- পুরো ইউনিটের খাবার তৈরিতে বাবুর্চির সংকট, পরিচ্ছন্ন কর্মীর সংকট, এপিবিএন’র আবাসন সংকট, নারী সদস্যদের কাজের সুবিধার্ধে সন্তানদের জন্য ডে-কেয়ার হোম স্থাপন করা, বাড়ি ভাড়া সুবিধা, রেশন সুবিধা, শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ, ইউনিটের অভ্যন্তরীণ পদায়ন ও রদবদলের ক্ষমতায়ন, ডিউটি পালনে পরিবহণ সুবিধা ও কূটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে টহল স্পিড বোর্ড।
কল্যাণ সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মোখলেসুর রহমান এপিবিএন’র এসব দাবিগুলোর যৌক্তিগতা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এপিবিএন’র ১২টি ও এসপিবিএন’র ২ ব্যাটালিয়নের থাকার জন্য আবাসন সংকট রয়েছে। নারী সদস্যদের জন্য একটি মাত্র আলাদা আবাসন তৈরি করা হয়েছে। ইউনিটে নারী সদস্যদের গুরুত্ব ধীরে ধীরে আরও বাড়ছে।
তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে এপিবিএন’র সদস্যরাও কাজ করছে। সার্বিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এদিকে এ ইউনিটে ফোর্সের স্বল্পতাও রয়েছে। সেগুলো আমরা সমাধানের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
কল্যাণ সভায় সভাপতিত্ব করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) সিদ্দিকুর রহমান। এসময় এপিবিএন’র সব ব্যাটালিয়ন থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
**‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তদন্তের অগ্রগতি জানা নেই’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এসজেএ/এএটি/বিএস