বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. আনয়ারুল হক এ আদেশ দেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন জাহাঙ্গীর।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে বরিশাল নগরের আলেকান্দা এলাকার নিজ বাসভবন থেকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র কে এম শহীদুল্লাহকে আটক করে র্যাব। এসময় তার হেফাজতে থাকা একটি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে অভিযানিক দলটি।
ওই দিন রাতেই র্যাবের ডিএডি আশরাফুর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করেন।
২৬ জানুয়ারি কোতোয়ালি মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখয়াত হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন।
এ রায়ের মাধ্যমে সঠিক বিচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালাশ পাওয়া বিসিসি’র ১ নং প্যানেল মেয়র ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কে এম শহীদুল্লাহ। তিনি আরো বলেন, আদালতের প্রতি আমার আত্মবিশ্বাস ছিলো পাশাপাশি মামলাটি ছিলো মিথ্যা ও হয়রানিমূলক।
কে এম শহিদুল্লাহ দক্ষিণ আলেকান্দা মেডিকেল কলেজ লেনের মৃত মোতাহার হোসেন খাঁনের ছেলে। তিনি নগরীর ১২ নং ওয়ার্ড থেকে পরপর চারবার কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন। এছাড়াও একবার সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও দুই বার প্যানেল মেয়র-২ হিসেবেও নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এমএস/আরএ