বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ওই ৬ ছয়জনকে নিয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ খান এ কথা বলেন।
এর আগে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ঢাকা ও পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রটির মূলহোতা জাকিরসহ ওই ছয়জনকে আটক করা হয়।
মুফতি মাহমুদ বলেন, চক্রটির মূলহোতা জাকির। তাদের দলে ১০-১৫ জন কাজ করে। তারা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, নারায়ণগঞ্জ ও চিটাগাং রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় শিশু অপহরণ করতো।
তিনি জানান, যাত্রীবেশে সব জায়গায় এই চক্রটির বিচরণ রয়েছে। তারা সদরঘাট এলাকায় মাইক্রোবাসে করে দলবদ্ধভাবে ঘুরে বেড়ায়। রাস্তায় কোনো শিশুকে দেখা মাত্র টার্গেট করে সুযোগ বুঝে অচেতন করার ওষুধ খাইয়ে তুলে নেয়।
আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ পর্যন্ত ১৭টি শিশু অপহরণের কথা স্বীকার করেছে। যার মধ্যে আটকজনকে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়েছে, ছয়জনকে বিদেশে পাচার করেছে এবং মাত্রাতিরিক্ত ওষুধের ব্যবহারে দু’জন শিশুকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দিয়েছে। বাকি এক শিশু বায়েজিদকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক ছয় জনের মধ্যে জাকির হোসেন (৫৫) ছাড়া বাকি পাঁচ জন হলেন- জাকিরের স্ত্রী মর্জিনা বেগম ওরফে বানেছা, টিটু (২৯), মোহাম্মদ হোসেন সাগর ওরফে বেলু ওরফে দেলু (২২), জেসমিন বেগম (৩৭) এবং আসলাম ওরফে আলামিন (২৮)।
অপহরণকারীদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ৩ রাউন্ড গুলি, ২টি চাকু, একটি চাপাতি, ১ হাজার ২০ পিস ইয়াবা, অপহৃত শিশুদের অজ্ঞান করার জন্য ব্যবহৃত ২৩টি চেতনানাশক ইনজেকশন, দু’টি ব্যবহৃত ইনজেকশন, ১৪টি সিরিঞ্জ এবং ১৭টি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
**মানব পাচার চক্রের দুই নারী সদস্যসহ আটক ৬
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
আরএটি/এএটি/এইচএ/