বার্নিকাট বলেন, আমার ৩৫ বছরের কূটনৈতিক জীবনে আমি কখনোই বাংলাদেশে মতো জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখিনি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।
সদ্য গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমরা চাই বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে নতুন মার্কিন প্রশাসন ও সরকার নিয়ে সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বার্নিকাট।
এক প্রশ্নের জবাবে বার্নিকাট নিজের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, মায়ামার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা অত্যন্ত মানবেতার জীবন যাপন করছে। তাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।
ভাগ্য বিড়ম্বিত এসব মায়ানমার নাগরিকদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসাও করেন বার্নিকাট। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রও তাদের পাশে আছে। তাদের আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে।
কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর হাতিয়ার ঠেঙ্গার চরে স্থানান্তরে সরকারের সিদ্ধান্ত বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন জানতে চাইলে বার্নিকাট বলেন, আমরা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছি। তাদের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নিচ্ছি। তারা (রোহিঙ্গা) কী চায় সেটিকেই আমাদের গুরুত্ব দেয়া উচিত। তারা অন্য জায়গায় যেতে চায় কি না সেটি দেখতে হবে।
তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে রোহিঙ্গারা এক ধরনের মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত, এমন কোনো কাজ করা উচিত হবে না, যাতে তারা আরও ট্রমার মধ্যে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
জেপি/এসএইচ