তিনি আলেম-ওলামাদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনাদের কথা মানুষ শুনবে এবং নেবে। আমি আহবান করেছিলাম- জনগণ এ ব্যাপারে সাড়া দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় ইমাম সম্মেলন ও শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সনদ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বড় একটি সমস্যা মাদকাসক্তি। অপরটি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। এদের হাত থেকে আমাদের শিশুদের, যুব সমাজ তথা দেশবাসীকে রক্ষা করতে হবে।
“আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী কাজ করছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। কিন্তু, সবচেয়ে বড় শক্তি মানুষের শক্তি। মানুষের ভেতর যদি সচেতনতা থাকে। মানুষ যদি এটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, তাহলে এই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দেশ থেকে চিরতরে দূর হবে। ”
শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক সমস্যা আখ্যায়িত করে বলেন, আমরা সমগ্র বিশ্বকে দেখাতে চাই বাংলাদেশই পারবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে সত্যিকার ইসলাম ধর্মের মূল মর্মবাণী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে। মানুষ যেন সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে তা নিশ্চিত করতে। আর সেটা বাংলাদেশই করতে পারবে।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. বজলুল হক হারুন।
স্বাগত বক্তৃতা করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল জলিল। আরও বক্তৃতা করেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামিম মো. আফজাল এবং ইমাম ও ওলামায়ে কেরামগণের পক্ষে মাওলানা ওবায়দুল্লাহ এরশাদ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ ও ২০১৬ সালের ৬ জন শ্রেষ্ঠ ইমাম এবং ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত দেশব্যাপী শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এইচএ/