বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সহকারী সম্পত্তি কর্মকর্তা মুহাম্মদ সামছুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এদিন দুপুরে নগর ভবনে সিটি মেয়র সাঈদ খোকন এ তথ্য জানান।
ধানমন্ডির শেখ কামাল সরণির (রাপা প্লাজা মোড় থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত) মডেল সড়কের নকশা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি চাঁদাবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানান।
সাঈদ খোকন বলেন, ৭২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে ডিএসসিসি। এর মধ্যে মতিঝিল থানায় ১৬ জন, শাহবাগ থানার ৭ জন এবং পল্টন থানায় ৪৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মো. সাইফুল ইসলামকে। তার বাড়ি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি বগারপাড়ায়। তিনি পূর্ব জুরাইনে বসবাস করেন। শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শাহজাহান ওরফে ‘লম্বু শাহজাহান’কে। তার মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর বাড়ুইগাঁওয়ে এবং পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে হারুন ওরফে ‘লম্বু হারুন’কে। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার ডহিরন তাপসিতে।
মামলাগুলোর এজাহারে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন রাস্তা ও ফুটপাত দখলদার হকারদের কাছে থেকে একটি স্বার্থান্বেষী মহল দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা আদায় করে আসছিলো। রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল, বায়তুল মোকাররম, ফুলবাড়িয়া এলাকার হকারদের কাছে থেকে প্রতিদিন দোকান প্রতি ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করতো। এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে বিভিন্ন সময় ডিএসসিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।
চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে বলে একটি মহল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধে তৎপর হয়ে উঠেছে- উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সব ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে চাই।
‘মডেল সড়ক’র নকশা জমা দেওয়া ৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দেশার ওয়ার্কস এবং লাইনস আর্কিটেকস যৌথভাবে প্রথম হয়। মেয়র তাদের সাড়ে ৩ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
** ‘চাঁদাবাজদের সামাজিক ভাবে বয়কটের আহ্বান’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এসএম/এটি