বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেসক্লাবের হলরুমে সালমান শাহ ভক্ত ঐক্যজোট আয়োজিত সালমান শাহ হত্যার বিচার দাবিতে আলোচনা সভা ও সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইচ্ছার কথা জানান।
নীলা চৌধুরী বলেন, আমার স্বামী ছেলের বিচারের আকাঙক্ষায় হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
নীলা চৌধুরী বলেন, “সে মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে আমি বলেছিলাম- চল কোথাও ঘুরে আসি। তখন সে বললো- ‘মা আমার হাতে বেশ কয়েকটি ছবির কাজ রয়েছে। সেগুলো শেষ না করে আমার মরারও উপায় নেই। কাজগুলো শেষ না করলে অনেকের ক্ষতি হয়ে যাবে। এগুলো শেষ করে আমি তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবো’। যে ছেলে এসব কথা বলতে পারে, সে হঠাৎ করে আত্মহত্যা করবে কেন?”
নীলা বলেন, সালমান শাহ’র মৃত্যুতে অনেকগুলো প্রশ্ন রয়েছে- আমার ছেলে মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী কেন হাসপাতালে আসলো না? তার শ্বশুর বাড়ির কেউ কোনো খোঁজ নিলো না? ধর্মমতে সে (সালমান শাহ’র স্ত্রী) এখনও আমার ছেলের বউ। কিন্তু সে আরেক বন্ধুকে বিয়ে করলো একবার আমাদের পরিবারকে জানানোর প্রয়োজনও মনে করলো না?
পোস্টমর্টেম রিপোর্টগুলো পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার স্বপক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে দাবি করে সালমান শাহ’র মা বলেন, মারা যাওয়ার পর যে সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়। আমার ছেলের ক্ষেত্রে সেটিও করা হয়নি। পোস্টমর্টেমের আগে যে এক্স-রে করা হয়, সেটিও করা হয়নি কেন? তাহলে পূর্বের অবস্থা ও পরের রিপোর্টে সত্যতা প্রমাণ হতো। এছাড়া কেউ ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেলে তার ঘাড়ের হাড় ভেঙে যাবে। সালমান শাহ’র ঘাড়ের হাড়ও ভেঙে যায়নি। আমার ছেলেকে হত্যা করার পর সব মিথ্যে তথ্য দিয়ে সেটিকে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার ছেলের মারা যাবার খবর শুনে সারাবিশ্বে ৪১ জন মারা গেছে। তাই আমি শুধু আমার ছেলের বিচার না, তার জন্য যে ৪১ জন ভক্ত মারা গেছে। সালমান মারা না গেলে তো এই ৪১ জনের অকাল মৃত্যু হতো না। তাই আমি ৪২ জন খুনের বিচার চাই।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহ’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এমএইচকে/টিআই