বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনের শুরুতেই পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ শঙ্কার কথা জানান।
তার এ শঙ্কা নিয়ে ডেপুটি স্পিকার বলেন, আপনি একটি খবরের কাগজের উপর ভিত্তি করে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন।
জাপা এমপি ফখরুল ইমাম বলেন, ন্যানো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে জাপানি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা সমস্ত পৃথিবী দিনে পরিক্রমা করবে ১৬ বার এবং বাংলাদেশের উপর দিয়ে যাবে দিনে ৪ থেকে ৫ বার। তখন সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশের প্রতিটি পিকচার এগ্রিকালচার থেকে শুরু করে যতো স্থাপনা আছে, সেনাবাহিনীর যতো সংরক্ষতি স্থাপনা আছে তার সবগুলোর ফটোগ্রাফি তারা তুলে নেবে।
তিনি বলেন, আমি এখানেই আশ্চর্য হয়েছি ‘স্পারসো’ নামের আমাদের একটা সংগঠন আছে যেটা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তারা এ কাজগুলো করে। অথচ তাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি। বিনা চুক্তিতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মতো একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি মহাকাশে তারা যেটা ন্যানো স্যাটেলাইটটি প্রস্তুত করেছ। তারা যেটি মহাকাশে ছাড়বে এটা নিয়ে নিরাপত্তা চিন্তায় আছি।
আমি এ ব্যাপারে আশা করবো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যিনি দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন, তিনি যদি আমাদের অবহিত করেন তাহলে আমরা এটার সম্পর্কে জানতে পারবো।
বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ (ন্যানো স্যাটেলাইট) ‘ব্র্যাক অন্বেষা’র মহাকাশে উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী মার্চে বাংলাদেশের কৃত্রিম উপগ্রহটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হবে। মে থেকে তা মহাকাশে ঘুরে বেড়াবে। উপগ্রহটির ওজন প্রায় এক কেজি।
জাপানের কিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে স্যাটেলাইট হস্তান্তর ৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এসএম/জিপি/এএ
আরও পড়ুন
** একাদশ সংসদের প্রস্তুতি নিচ্ছি
** প্রাথমিকে ৪৫ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য