বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) হাতেনাতে ঘুষসহ সিলেট জেলা প্রশাসনের (ডিসি অফিস) এক কর্মচারীকে আটক করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বিকেল ৫টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় ৩০৭ নম্বর কক্ষে ব্যবসা শাখার অফিস সহকারী আব্দুল আজিজকে দশ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণকালে হাতেনাতে আটক করেন দুদক সিলেটের পরিচালক শিরিন পারভীনের নেতৃত্বাধীন একটি দল।
এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছিনিয়ে রাখতে দুদক সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় দশ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণকালে আব্দুল আজিজকে হাতে নাতে আটক করা হয়। তবে জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা বাংলানিউজকে বলেন, তাৎক্ষণিক ঘুষের টাকা জব্দ না করে সহকর্মীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণে প্রতিবাদ করেন তারা। ঘটনাটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে তাৎক্ষণিক দুদক কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বৈঠক শেষে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়ে বেরিয়ে আসার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন আব্দুল আজিজ। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা দুদক কর্মকর্তাদের ওপর চড়াও হন। তারা দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। এ ঘটনায় দুদক কর্মকর্তা মিসবাহ উদ্দিন আহমদ আহত হয়েছেন। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ সময় কর্মকর্তাদের ডিসি অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মচারীরা। পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পুলিশি পাহারায় বেরিয়ে যান দুদক সিলেট অঞ্চলের পরিচালক শিরিন পারভীনসহ অন্য কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সিলেটের জেলা প্রশাসক মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
অপরদিকে, দুদক সিলেট অফিসের টেলিফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে পরিচালক শিরিন শারমিনের সেল ফোন নাম্বার চাইলেও দায়িত্বরত জনৈক সদস্য মোবাইল নম্বর দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, তার কাছে আঞ্চলিক পরিচালকের মোবাইল নাম্বার নাই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৭
এনইউ/জিপি/আরআই