বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত ধীরেন্দ্র্র নাথ রায় আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের নিচপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহেশ চন্দ্রের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস না থাকায় গ্রামের বাড়িতে এসে নিজের পৈত্রিক জমিতে ধান চাষ করেন ধীরেন্দ্র নাথ।
বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে ওই জমিতে পানি দিতে গেলে তার প্রতিবেশী মনোরঞ্জনের ছেলে বকুল চন্দ্র দলবল নিয়ে ওই জমিতে ধান চাষ করতে নিষেধ করেন। জমি থেকে সরতে অসম্মতি জানালে তারা এলোপাতাড়িভাবে ধীরেন্দ্র নাথ মারধর করেন।
সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে বাঁচতে পাশের জিতেন্দ্র নাথের বাড়িতে আত্মগোপন করেন ধীরেন্দ্র নাথ। এসময় সন্ত্রাসীরাও ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে।
পরে খবর পেয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ ওই বাড়ি থেকে আহত ধীরেন্দ্র নাথকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার মূলহোতা বকুল চন্দ্রসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদিতমারী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন আহত কলেজ ছাত্রের বাবা মহেশ চন্দ্র।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. হামজা বাংলানিউজকে জানান, ধীরেন্দ্র নাথ মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। তার চিকিৎসা চলছে। তবে সেরে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেশ্বর রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
আরএ